রাজশাহীতে সরবরাহ না থাকায় হজযাত্রীদের টিকা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক হজযাত্রী।
বুধবার (১৭ মে) সকালে রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন অফিসে টিকা নিতে আসেন হজযাত্রীরা। মাত্র ৭০টি টিকা দেওয়ার পর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অনেক হজযাত্রী।
রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, এ বছর জেলায় সরকারি ও বেসরকারি মিলে ২ হাজার ৪৬৭ জন যাত্রী হজে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছেন ৬৫৭ জন। বাকিরা যাচ্ছেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, হজে যাওয়ার আগে প্রতিটি হজযাত্রীকে মেনিনোকোকাল ও ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দিতে হয়। গত ৮ মে থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু বুধবার ৭০ জনকে টিকা দেওয়ার পরে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বেসরকারি হজ এজেন্সি নিশাত ট্রাভেলসের ম্যানেজিং পার্টনার আতাউর রহমান বলেন, “চলতি বছর আমাদের ১৭০ জন যাত্রী হজে যাবেন। এরা সবাই রাজশাহীর। গত কয়েকদিন আগে এসে তাদের তালিকা ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন জমা দেওয়া হয়েছে। আজকে টিকা দেওয়ার ডেট ছিল। তবে এখানে এসে দেখছি টিকা শেষ।”
আতাউর রহমান আরও বলেন, “কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে টিকা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণেই মূলত কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে। আমাদের ঢাকা হজ্জ ক্যাম্প থেকে টিকা নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে সেখানে সময় না পাওয়া ও হাজিদের টিকা পেতে বেশ বেগ পেতে হবে। আমরা অনুরোধ করব দ্রুত রাজশাহীতেই যেন টিকার কার্যক্রম শুরু হয়।”
টিকা নিতে আসা মাহমুদুল আমিন বলেন, “সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। শুরুতে বলা হচ্ছিল আজকে ১৫০ জনকে টিকা দেবে। মাত্র ৭০জনকে টিকা দেওয়ার পর কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।”
ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহীর পরিচালক রেজ্জাকুল হায়দার বলেন, “হাজিরা টিকা নিতে পারছে না, এমন একটি সংবাদ আমরা পেয়েছি। তবে আমরা শুধু ব্যবস্থাপনা ও তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি। টিকা সংক্রান্ত সবকিছুর দায় দায়িত্ব সিভিল সার্জন অফিসের।”
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “আমাদের যতজন যাত্রী, ঠিক ততগুলোই টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্য জেলা থেকে অনেকে এসে টিকা নিয়ে গেছেন। ফলে কিছু টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। শিগগিরই ঢাকা থেকে টিকার ব্যবস্থা করা হবে। সবাই টিকা পাবে এ নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।”
আপনার মতামত লিখুন :