কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চিলমারী নৌবন্দরে আসছে ভারত সরকার পরিচালিত বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার ‘গঙ্গা বিলাস’। ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ চিলমারী নদীবন্দরে নোঙর করার কথা রয়েছে প্রমোদতরিটির। এ উপলক্ষে চিলমারী নৌবন্দরের পন্টুন সচল করাসহ বন্দর এলাকা ড্রেজিং করা হয়েছে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চিলমারী-দই খাওয়া নৌরুটের প্রধান পাইলট মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘এমভি গঙ্গা বিলাস’ ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে চিলমারী নদীবন্দরে নোঙর করবে। নৌবিহারের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, শীত মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রে নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ায় বন্দরের পন্টুন বালুচরে পড়ে যায়। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় পন্টুনের ব্যবহার। গঙ্গা বিলাস চিলমারী বন্দরে আসা উপলক্ষে পন্টুনকে ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে। গঙ্গা বিলাসে সফরকারীরা এই পন্টুন ব্যবহার করে চিলমারী বন্দরে অবতরণ করবেন।
চিলমারী-দই খাওয়া নৌরুটের প্রধান পাইলট মাহবুবুর রহমান বলেন, “চিলমারী-ধুবরী নৌরুটে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে গত নভেম্বর থেকে ড্রেজিং চলছে। ‘গঙ্গা বিলাস’ আগমন উপলক্ষে শুধু চিলমারী নৌবন্দরের পন্টুন সচল করা হয়েছে। নৌবিহারটি যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, সে বিষয়টিও তদারকি করা হচ্ছে।”
চিলমারী উপজেলা প্রশাসন জানায়, ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা নাগাদ গঙ্গা বিলাস চিলমারী বন্দরে নোঙর করে সেখানে দুই রাত ও এক দিন অবস্থান করবে। এতে থাকা পর্যটকরা ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুর অঞ্চলের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান পরিভ্রমণ করবেন। সেদিন বিকেলে তারা আবারও প্রমোদতরিতে ফিরে রাত যাপন করবেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে তারা ভারতের উদ্দেশে চিলমারী নৌবন্দর ত্যাগ করবেন।
চিলমারীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, “প্রমোদতরিতে থাকা পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এটাই তাদের সর্বশেষ অবতরণ, সে জন্য তাদের সফর স্মরণীয় করতে আমরা সব প্রস্তুতি নিয়েছি। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”