• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বন্ধ থাকা স্থলবন্দর চালুর দাবি


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৩:০৯ পিএম
বন্ধ থাকা স্থলবন্দর চালুর দাবি

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নে ধর্মগড়-দেবীগঞ্জ স্থলবন্দরটি পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধর্মগড়-দেবীগঞ্জ স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে উপজেলার চেকপোস্ট, কাউন্সিল বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় ধর্মগড়-দেবীগঞ্জ স্থলবন্দর বাস্তবায়ন সম্পর্কিত কমিটির আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ, ধর্মগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, ধর্মগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হানিফ, লক্ষ্মীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোকসেদ মাস্টার।

মানববন্ধনে ধর্মগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, “পাকিস্তান আমলে আমাদের এখানে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু ছিল দীর্ঘ দিন। কিন্তু ৭১-এর পরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তাই এটিকে পুনরায় চালু কারার দাবিতে আমরা মানববন্ধন ও লংমার্চ কর্মসূচিতে নেমেছি। সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও এলাকাবাসী উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আবার এটিকে চালু করার দাবি জানাচ্ছি।”

ধর্মগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান স্থলবন্দর বাস্তবায়ন সম্পর্কিত কমিটির আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, “যেহেতু আমাদের এখানে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু ছিল সেহেতু এটি আমাদের শুধু দাবি নয় এটা আমাদের প্রাপ্য। এটি আমাদের এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি। তাই সরকারকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এটিকে চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, “১৯৫৮ সালে যখন এখানে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু ছিল তখন এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ছিল। বর্তমানে প্রতিবছর এখানে ৩৭৩ ও ৩৭৪ নম্বর পিলারের কাছে দুই দেশের মানুষের মিলন মেলা বসে। এপার ওপার বাংলার লাখ লাখ মানুষ এই মেলা অংশ নেন।”

এছাড়াও স্থলবন্দর চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও লংমার্চ কর্মসূচি হিসেবে দুপুরে রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সামনেও তারা মানববন্ধন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরের স্মারকলিপি প্রদান করেন।

রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকারনাইন কবির স্টিভ বলেন, “বন্দর চালুর বিষয়ে স্মারকলিপি পেয়েছি। আমি এটি চালুর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন দপ্তরের নিকট প্রেরণ করবো। এটি হলে রাণীশংকৈলের জীবনযাত্রার মান বদলে যাবে।”

Link copied!