• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসছে মৃত সামুদ্রিক প্রাণী


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৩:৪০ পিএম
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসছে মৃত সামুদ্রিক প্রাণী

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একের পর এক ভেসে আসছে মৃত কচ্ছপ, বিপন্ন স্তন্যপায়ী পরপইস, ইরাবতী ও ইন্দোপ্যাসিফিক হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির ডলফিন।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইনানী ও সোনারপাড়ায় একটি ইরাবতী ও একটি ইন্দোপ্যাসিফিক হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির মৃত ডলফিন ভেসে আসে। এর আগে বুধবার কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি বিপন্ন স্তন্যপায়ী পরপইসের মৃতদেহ ভেসে এসেছিল। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সৈকতের রেজুখালের মোহনায় একটি মা কচ্ছপ ও বিকেলে হিমছড়ি সৈকতে একটি ইরাবতী প্রজাতির মৃত ডলফিন ভেসে এসেছিল।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ভেসে আসা ডলফিন দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। ইনানী সৈকতে আসা মরা ডলফিনটি ইন্দোপ্যাসিফিক হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এই প্রজাতির ডলফিন প্রথম ভেসে এসেছে। ডলফিনটির কঙ্কাল সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বোরির এই বিজ্ঞানী আরও বলেন, উদ্ধার করা ইন্দোপ্যাসিফিক হ্যাম্পব্যাকের ওজন ২৪০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ১০ ইঞ্চি। আর সোনারপাড়া সৈকতে আসা ইরাবতী ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি। এটির ওজন ৭০ কেজি। দুটির নমুনা সংগ্রহের পর সৈকতের বালিয়াড়িতে মাটি চাপা দেওয়া হবে। এক থেকে দেড় বছর পর দুটির কঙ্কাল উত্তোলন করে বোরিতে সংরক্ষণ করা হবে।

এদিকে প্রাণীগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, নানা কারণে সাগরে এসব প্রাণীর মৃত্যু ঘটতে পারে। তবে প্রাণীগুলোর আবাসস্থলে কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়েছে কি না তা অনুসন্ধানে বোরির বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।

বোরির হিসেবে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার শহর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন ও সোনাদিয়া সৈকতে অন্তত ২০টি মরা সামুদ্রিক কচ্ছপ ভেসে এসেছে।

Link copied!