• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

কুড়িগ্রামে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩, ০৯:৪৯ এএম
কুড়িগ্রামে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ

কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

বেলা বাড়লেও মিলছে না সূর্যের দেখা। এ অবস্থায় বেড়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষজন। রেহাই পাচ্ছে না পশুপাখিরাও। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলের মানুষজন।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার এনামুল হক বলেন, “কনকনে ঠান্ডায় বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। তারপরও বের হলাম। কাজ না করলে সংসার চলবে না। শীতবস্ত্র নাই। খুব কষ্টে আছি।”

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহাড়া গ্রামের কৃষ্ণ নামের এক জেলে বলেন, “আজ প্রচুর ঠান্ডা পড়ছে। তারপরেও জীবিকার তাগিদে বের হয়েছি। যতই ঠান্ডা হোক, আমাদের বের হতে হয়।”

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ শীত জনিত নানা রোগ। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। কুড়িগ্রাম হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট বেডের বিপরীতে দ্বিগুণেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। বহির্বিভাগেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান শিপন জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি। তারপরও সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তুহিন মিয়া জানান, রোববার সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও তাপমাত্রা কমার আরও সম্ভাবনা রয়েছে।

Link copied!