• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নদীতে বাঁধ দিয়ে মা মাছ ও রেনু পোনা নিধন


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৩, ০৪:১৩ পিএম
নদীতে বাঁধ দিয়ে মা মাছ ও রেনু পোনা নিধন

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় পদ্মা-আড়িয়াল খাঁসহ বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে চলছে অবাধে মা মাছ ও রেনু পোনা নিধনের মহোৎসব।

আড়াআড়ি বাঁধ ও চায়না দোয়ারি, টোনাজাল, মশারিজাল, সুতিজাল, রাক্ষুসীজালসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে অবাধে প্রজননে প্রস্তুত মা মাছ ও রেণু পোনা ধরে বাজারে বিক্রি করছেন জেলেরা। এতে জেলেরা লাভবান হলেও চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের প্রজনন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ভুবনেশ্বর নদে কিছু কিছু এলাকায় বাঁশ দিয়ে মৎস্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এ ছাড়া আকোটেরচর হাট সংলগ্ন সুইচগেট, চর রামনগর, শিমুলতলি বাজার, হাজীকান্দি খাল, কাটাখালি, লোহারটেক, মুন্সীরচর মরা আড়িয়াল খাঁ, শয়তানখালী পদ্মার পাড়, চন্দ্রপাড়া ঘাট, চর নাছিরপুর, নারিকেল বাড়িয়ার বিভিন্ন চরের জলাশয় যেখানে বর্ষার শুরুতেই মা মাছ প্রজননের জন্য আসে, সেখানে মৎস্য অভয়ারণ্য না থাকায় নিধন হচ্ছে মা মাছ ও রেনু পোনা।

মৌসুমী জেলেদের মাছ ধরা আইন বিষয়ক কোনো প্রশিক্ষণ ও প্রশাসন কর্তৃক প্রচার-প্রচারণা না থাকায় প্রতিনিয়ত ধরা হচ্ছে  মা মাছ ও রেণু পোনা। এতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও  সদরপুর উপজেলায় তা প্রয়োগ হচ্ছে না।

উপজেলার চন্দ্রপাড়া ঘাট এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন সকালে এখানে রেনু পোনার বাজার বসে। জেলেরা আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে রেনু পোনা সংগ্রহ করে এখানে বিক্রি করেন। এছাড়া এখান থেকে রেনু পোনা পিকআপ ভ্যানে করে অন্যান্য জেলায় পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা এস এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, “আমি এখানে নতুন এসেছি। মৎস্য বিভাগে লোকবল কম। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই রেনু পোনা ধরা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করব।”

Link copied!