• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

নকশা জটিলতার অজুহাতে চার বছর ধরে বন্ধ সেতুর কাজ


কাশেম হাওলাদার, বরগুনা
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
নকশা জটিলতার অজুহাতে চার বছর ধরে বন্ধ সেতুর কাজ

নকশা জটিলতার অজুহাতে চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ বন্ধ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, বন বিভাগের লোকজন ও পর্যটকরা।

সোমবার (১৯ মে) সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর দুই পাড়ে ৪৮ মিটার গার্ডার নির্মাণ করা হয়েছে। মাঝে ২৪ মিটারের কাজ এখনো বাকি। এপ্রোচ সড়কের কাজও সম্পন্ন হয়নি।

জানা গেছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় ট্যাংরাগিড়ি ইকোপার্ক বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ফকিরহাটে। এই ইকোপার্কে যেতে সোনাকাটা খাল পাড়ি দিতে হয়। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে স্থানীয়রা সেখানে সাকো নির্মাণ করে পারাপার করে আসছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে আরবিআরপি প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সোনাকাটা খালে ৭২ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭১৫ টাকা ব্যয়ে বরিশালের এমএস বিল্ডার্স অ্যান্ড মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি। ওই বছরের শেষের দিকে কাজ শুরু হয়। এরপর ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই পাড়ের গার্ডার নির্মাণ করেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তালতলী উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, নকশা জটিলতার কারণে স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রকৌশল অফিস নকশার জটিলতাকে অজুহাত দেখিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছে। বারবার বলার পরও সেতুর কাজ সমাপ্ত করা হয়নি।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শুকনো মৌসুমে প্রতিদিন অন্তত চার-পাঁচ শতাধিক পর্যটক ইকোপার্কে আসতেন। তবে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় পর্যটক আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সরকার গত চার বছরে কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরাজী মো. ইউনুচ বলেন, খালে ভারী কোনো নৌযান চলে না। তাই সেতুর নির্মাণ বন্ধ রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা উচিত।

এবিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, স্থানীয়দের বাধার কারণে নকশা জটিলতায় সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে।

বরগুনা জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমান নকশাতেই সেতু নির্মাণ সম্ভব। বিষয়টি প্রধান প্রকৌশলী অফিসে অবহিত করা হয়েছে। অনুমতি পেলেই কাজ শুরু হবে।

Link copied!