• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, দাম বাড়ার আশঙ্কা


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩, ০৯:২৫ পিএম
পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, দাম বাড়ার আশঙ্কা

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র মাহে রমজান। এরই মধ্যে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হচ্ছে। ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

বুধবার (১৫ মার্চ) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি শেষ হয়েছে। তাই আসন্ন রমজান মাসের জন্য পেঁয়াজ আমদানির সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

ভোমরা বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, “প্রতি বছর পেঁয়াজ আমদানির জন্য সরকারের মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) মেয়াদ থাকে। আজকের পর থেকে সেই মেয়াদ না থাকায় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন না। সরকার নতুন করে আইপি দিলে তারপর আমদানি করা যাবে।”

ভোমরা স্থলবন্দরে সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, সরকার ইমপোর্ট পারমিট না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হচ্ছে।

মাকসুদ খান আরও জানান, দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে সেই কথা বিবেচনা করে ও দেশের কৃষকদের পেঁয়াজের বাজার মূল্য সঠিক পাওয়ার জন্য ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে দেশীয় কৃষকরা তাদের চাষকৃত পেঁয়াজের সঠিক মূল্য পাবেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে বুধবার সাতক্ষীরার বড় বাজারে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৮ টাকা। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা।

আমদানিকারকরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র সরকার বন্ধ করলে দাম হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে। যে পেঁয়াজ আসছে এগুলো আগের আইপি করা। নতুন করে আমদানির অনুমতিপত্র না দিলে রোজার মধ্যে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। ফলে কিছু ব্যবসায়ী এর সুযোগ নেবে।

Link copied!