• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
শিশু মুসাফির। ছবি : প্রতিনিধি

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় মুসাফির নামের চার মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

মুসাফির শরীয়তপুর পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিব শেখ ও রুবিনা দম্পতির ছেলে।

স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুই দিন ধরে পেটে গ্যাস ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে ভুগছিলো শিশু মুসাফির। বুধবার দুপুরে শিশুটিকে নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন মা রুবিনা বেগম। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন চিকিৎসক শরীফ-উর রহমান। শিশুটিকে ভর্তি করা হলে তরল জাতীয় একটি ওষুধ লিখে দেন তিনি। ওষুধটি খাওয়ানোর পর আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু মুসাফির। অবস্থা খারাপ দেখে মা রুবিনা বেগম ও স্বজনরা বেশ কয়েকবার চিকিৎসককে ডেকে আনতে যান। কিন্তু চিকিৎসক শরীফ-উর রহমান বিষয়টি আমলে না নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে আসেননি। একপর্যায়ে কর্তব্যরত স্টাফ নার্স সীমা বৈদ্য চিকিৎসককে ডাকতে গেলেও তিনি শিশুটির কোনো চিকিৎসা দিতে আসেননি। শিশুটির অক্সিজেন মাস্ক খুলে তার কাছে নিয়ে যেতে বলেন। এরপর রাত ৮টার দিকে মারা যায় শিশু মুসাফির।

মুসাফিরের মা রুবিনা বেগম বলেন, “আমার বাবু যখন অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে, আমি নিচে অনেকবার দৌড়ে ডাক্তারকে ডাকতে যাই। তিনি আমাকে ধমক দিয়ে ওপরে পাঠিয়ে দিয়ে বলে আমি আসতেছি। কিন্তু ডাক্তার আর আসেনি। আজ যদি আমার বাবুটাকে চিকিৎসা দেওয়া হতো তাহলে বাবুটা বেঁচে থাকতো।”

চিকিৎসকের অবহেলার বিষয়টি সামনে এনে হাসপাতালে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সীমা বৈদ্য বলেন, “বাচ্চাকে প্রথমে আমি অক্সিজেন লাগিয়ে দেই। এরপর আমাকে বেশ কয়েকবার রোগীর লোক ডাকলে আমি বাচ্চাটাকে দেখে আসি। কিছুক্ষণ পর বাচ্চাটার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ডাক্তারকে ডাকতে আমার ওয়ার্ড বয়কে দুইবার নিচে পাঠিয়েছি। যখন বাচ্চাটির খারাপ অবস্থা ছিল তখন ডাক্তার আসলে হয়তো বাচ্চাটা বেঁচে থাকতো।”

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শরীফ-উর রহমানকে মোবাইল ফোনে কল দিলে ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “এমন অভিযোগ সত্য নয়। কেউ বাচ্চা নিয়ে জরুরি বিভাগে আসেনি।”

ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মিতু আক্তার। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমি ইতোমধ্যে এক শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। যদি ওই চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যু হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!