• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

আল্লাহ তুমি ওদের দেখে রাইখো, নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগে যুবকের চিরকুট


পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৫, ০২:১২ পিএম
আল্লাহ তুমি ওদের দেখে রাইখো, নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগে যুবকের চিরকুট
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন পটুয়াখালীর বাউফলের মো. কাওসার হোসেন। বুধবার (১৪ মে) রাত ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরে ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট লেখেন কাওসার। সেখানে লেখা ছিল আর্থিক অসচ্ছলতার কথা।

মো. কাওসার হোসেন বাউফলের মদনপুরা ইউনিয়নের শাহ আলম মৃধার ছেলে। পরিবারে স্ত্রী মা ও তার এক ভাই রয়েছে।

নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হন কাওসার। ২০২৪ সালে বাউফল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কাজের সন্ধানে পরিবারের সবাইকে নিয়ে রাজধানীতে যান কাওসার। এর মধ্যে বিয়েও করেন। কিন্তু কোথাও কোনো স্থায়ী কাজ না পাওয়ায় ধীরে ধীরে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়লে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। 

নিহত কাউসারের বন্ধুরা জানান, বুধবার (১৪ মে) রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পাশে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল ‘আমার একটাই দোষ আমি গরিব। আমি কাউকে কোনো দোষ দিচ্ছি না, নিজের ইচ্ছায় জীবন ত্যাগ করলাম।’

শেষে লেখেন, আমার জীবনে তিনজন মানুষ ছিল, মা, বউ ও ভাই। আল্লাহ তুমি ওদের দেখে রাইখো। 

এদিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে দীর্ঘ সময় মরদেহ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পড়ে ছিল। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নিহতের মা মরদেহ বাউফলে আনতে ব্যর্থ হন। পরে বাউফল উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জামায়াতের কর্মপষিদের সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ নিহতের মরদেহ গ্রামে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন এবং দাফন কাজে সার্বিক সহায়তা করেন। 

Link copied!