বগুড়ার ধুনটে ৮ বছরের শিশু মায়দা আক্তার রজনীকে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। দলবদ্ধ ধর্ষণের পর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয় তাকে। এরপর লাশ লুকিয়ে রাখতে ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে।
শনিবার (৬ মে) বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও সার্বিক) স্নিগ্ধ আখতার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ধুনটের এলাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের জঙ্গল থেকে শিশু মায়দা আক্তার রজনীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রজনী ওই এলাকার গাজিউর রহমান তালুকদারের মেয়ে।
স্নিগ্ধ আখতার বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধুনট উপজেলার এলাঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে আম কুড়াতে গেলে রজনীকে দেখতে পায় ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা। এরপর গ্রেপ্তার কিশোর রজনীর কাছে গিয়ে তার মুখ চেপে ওই স্কুলের দক্ষিণ পাশের গলিতে নিয়ে যায়। পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে রজনীর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে ও গলা টিপে হত্যা করে। লাশটি লুকিয়ে রাখতে তারা বিদ্যালয়ের পাশের একটি জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, “গ্রেপ্তার কিশোর ও তার দুই সহযোগী দীর্ঘদিন ধরে শিশুটিকে টার্গেট করে আসছিল। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার কিশোর তার দুই সহযোগী জড়িত থাকার তথ্য পুলিশকে দিয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা গাজিউর রহমান তালুকদার বাদী হয়ে ধুনট থানায় হত্যা ও ধর্ষণ মামলা করেছেন।”
আপনার মতামত লিখুন :