• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দুর্গোৎসব ঘিরে সুনামগঞ্জে প্রস্তুত হচ্ছে ৪২২টি মণ্ডপ


জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৩, ০২:০৯ পিএম
দুর্গোৎসব ঘিরে সুনামগঞ্জে প্রস্তুত হচ্ছে ৪২২টি মণ্ডপ
সুনামগঞ্জে এবার ৪২২টি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হবে

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে। দেবী দুর্গার সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। তবে গেল বছরের চেয়ে এবার কমেছে মণ্ডপের সংখ্যা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রশাসন। উৎসবের দিনগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রত্যেকটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা থাকবে। মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবেন পুলিশ, আনসার ভিডিপি সদস্যরা। থাকবে পুলিশের নিয়মিত টহলও।

সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, গত বছর জেলায় ৪২৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার জেলার ৪২২টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হবে। এরমধ্যে ৪০৪টি বারোয়ারি এবং ১৮টি পারিবারিক। সুনামগঞ্জ পৌর শহরে ২৫টি, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২৩টি, তাহিরপুরে ২৯টি, মধ্যনগরে ৩৩টি, ধর্মপাশায় ২১টি, বিশ্বম্ভরপুরে ২৯টি,শান্তিগঞ্জে ২৪টি, দোয়ারাবাজারে ১৮টি, ছাতকে ৩৩টি, জামালগঞ্জে ৪৬টি, দিরাইয়ে ৫৮টি, শাল্লায় ৩২টি, জগন্নাথপুরে ৪২টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মণ্ডপে নিজস্ব পাহারাদার, স্বেচ্ছাসেবক, বিদ্যুৎ সংযোগ, আলোকসজ্জাসহ মণ্ডপগুলোতে সকল সুযোগ সুবিধা প্রস্তুত রাখতে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে কঠোর নজরদারি।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল বণিক বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সারা বছর এই উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকে। দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সকল মণ্ডপে প্রস্তুতির কাজ শেষ পর্যায়ে। শারদীয় দুর্গোৎসব সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন আন্তরিক রয়েছে। জেলা ও উপজেলার সকল মণ্ডপ কমিটির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। দফায় দফায় মিটিং করা হচ্ছে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমান কান্তি রায় বলেন, শিল্পীরা মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছেন। জেলার সবকটি মণ্ডপে একযোগে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ২০ অক্টোবর ষষ্ঠীর দিন দেবীর বোধনের মধ্যদিয়ে পূজা শুরু ও ২৪ অক্টোবর দশমীর দিন বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দেবীকে বিদায় জানাবেন ভক্তবৃন্দ। এ বছর ঘোড়ায় চড়ে দেবী দুর্গা কৈলাস থেকে মর্ত্যলোকে আগমন করবেন এবং ফিরবেনও ঘোড়ায় চড়ে।

সুনামগঞ্জ জেলা বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনকে কেন্দ্র করে সীমান্ত দিয়ে মদসহ নেশা জাতীয় দ্রব্যের সরগরম দেখা যায়। আমরা সেদিকে নজরদারি জোরদার করব। আমাদের বিজিবি সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে।”

পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ বলেন, পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও পূজামণ্ডপগুলোতে পুলিশ, আনসার ভিডিপি সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকবেন। থাকবে পুলিশের নিয়মিত টহলও।

জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য সব ধরনের প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, র‌্যাব এবং বিজিবি টিম সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে। প্রত্যেকটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা থাকবে।

Link copied!