রাঙামাটিতে টানা ছয় দিনের বৃষ্টিতে পুরো জেলায় ১৯৭ স্থানে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি পরিসরে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও জেলায় ৫০৬ টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের পরিদর্শক হুমায়ুন রশিদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, শনিবার থেকে জেলায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। এতে প্রতিদিন গড়ে ১৪০-১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টি।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, টানা ছয় দিনে জেলার ১০ উপজেলায় ৩৭১টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের পাহাড় ধস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০৬টি ঘর-বাড়ি । ১৮টি ব্রিজের আশপাশে ক্ষুদ্র পরিসরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, প্রায় ১২৯৩ একর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাঙামাটির চার উপজেলার ২২ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৯টি বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, জেলায় মোট ২৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ২৬৪ জন নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে রাঙামাটি সদরে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ৮টিতে ৯০০ নারী, শিশু ও পুরুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রাখতে ৩৫টি স্থানে তাৎক্ষণিকভাবে সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। ৭০টি স্থানে ভেঙে পড়া গাছপালা অপসারণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সচল রাখতে রেসপন্স টিম কাজ করছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, এখনো সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নিরূপণ করা যায়নি। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তর দুর্যোগ মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। তবে, পাহাড় ধসে এখন পর্যন্ত হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।