• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ফেনীতে বিএনপির ১৩৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার


ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৩, ১১:৪৫ এএম
ফেনীতে বিএনপির ১৩৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ফেনীর বিভিন্ন থানায় নাশকতা ও গাড়ি পোড়ানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২২টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

তবে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল দাবি করেন, এসব মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২০০ নেতাসহ আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছেন।

গত রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে ফেনী শহরের অদূরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল এলাকায় খাগড়াছড়ি বাসস্ট্যান্ডের সামনের সড়কে একটি দাঁড়িয়ে থাকা সুগন্ধা বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছ। এ ঘটনায় রোববার রাতেই ওই বাসের চালক দাউদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এ ছাড়া নাশকতার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক দাউদুল ইসলাম মিনার, আবুল কালাম প্রকাশ ম্যাট স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস এম কায়সার এলিনসহ বিএনপির ১১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত সংখ্যককে আসামি করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বাস পোড়ানোর ঘটনায় ও নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার রাতে বাসে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এদিকে রোববার রাতে ফেনী সদর উপজেলার মহিপাল এলাকায় বসে নাশকতার পরিকল্পনা করা ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় ডিবি পুলিশের একজন উপপরিদর্শক বাদী একটি মামলা করেছেন।

জেলা বিএনপি সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, “দুুই সপ্তাহ ধরে ফেনী পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরাও রয়েছে। আমরা ১৫ বছর ধরে ফেনীর রাজপথে কোনো সন্ত্রাস, হাঙ্গামা করিনি। তারা বলছে আমরা নাশকতা চালাচ্ছি।”

Link copied!