• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বামীকে থানায় খাবার দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন স্ত্রীও 


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৫, ১০:০৪ পিএম
স্বামীকে থানায় খাবার দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন স্ত্রীও 

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে একটি সিআর মামলায় বাদী-বিবাদীর ধস্তাধস্তি থামাতে গিয়ে আঘাত পান থানার এক উপপরিদর্শক। 

এ ঘটনায় বিবাদীকে গ্রেপ্তার করে সোমবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় থানায় নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে গেলে স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জমি নিয়ে বিরোধে আদালতে একটি মামলা করেন ধারা ইউনিয়নের কলনীপাড়া এলাকার শরীফা খাতুন। সোমবার সন্ধ্যায় বাদী শরীফা খাতুনকে নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বিবাদীর বাড়িতে যান। এসময় পুলিশের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। এই বিবাদ থামাতে গেলে এসআই শহিদুল ইসলামের চোখে আঘাত লাগে। 

এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুনকে ঘটনা জানান। পরে উপপরিদর্শক শুভ্র সাহা ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিআর মামলার বিবাদী আব্দুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, আব্দুর রশিদকে গ্রেপ্তারের পর শারীরিক নির্যাতন করেন এসআই শুভ্র সাহা। কিন্তু শুভ্র সাহাকে প্রশ্ন করলে তিনি শারীরিক নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন। আজ সকালে গ্রেপ্তার আব্দুর রশিদের স্ত্রী জাহানারা বেগম থানায় তার স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই আদালতে হাজির করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী দেলায়ার হোসেন বলেন, “শরীফা একজন মাদক কারবারি। এই নারীকে নিয়ে এলাকাবাসী বিপদে আছেন। সোমবার এক মামলায় পুলিশ তদন্তে এলে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বাদী শরিফা বিবাদী আবদুর রশিদকে চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারেন। এসময় রশিদ ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফার দিকে তেড়ে গেলে এক পুলিশ সদস্যের গায়ে আঘাত লাগে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক মাফ চেয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়। পরে তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো বুঝতে পারছি না।”

উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। পরে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর ইসলাম হারুন জানান, দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে না পৌঁছানো পর্যন্ত মামলার বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না।

Link copied!