কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভুয়া এএসপিসহ তিনজনকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বালুখালী পানবাজার ক্যাম্পের এপিবিএন সদস্যরা ক্যাম্প-৮ ইস্টের সিআইসি অফিসের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলার বরফা পশ্চিম শুকতাইল এলাকার মো. শাহজাহান মোল্লার ছেলে মো. আহসান ইমাম, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মো. মনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. মানসুর রহমান (২৯) ও পটুয়াখালী গলাচিপার মো. আব্দুল হক শিকদারের ছেলে মো. মিন্টু (৩০)। এ সময় একটি টয়োটা এ্যাভেঞ্জা গাড়ি জব্দ করা হয়। যার সামনে পেছনে পুলিশ লিখা স্টিকার লাগানো ছিল।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন জানান, ক্যাম্প-৮ ইস্ট এর চেকপোস্টে এপিবিএন পুলিশ সদস্যদের সিগন্যাল অমান্য করে সামনে এবং পেছনে ‘পুলিশ’ স্টিকারযুক্ত একটি টয়োটা এ্যাভেঞ্জা গাড়ি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-৮৬৭৩) ক্যাম্পের ভেতরের দিকে যেতে থাকে এবং সিআইসি ৮-ইস্ট এর অফিসের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। পুলিশ সদস্যরা গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের নাম পরিচয় জানতে চান। গাড়িতে থাকা একজন নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের এএসপি পিয়াল হিসেবে পরিচয় দেন। বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ৩৪তম বিসিএস পুলিশের একজন সদস্য যার বিপি নং-৩৩০৭১৭ এবং পোস্টিং পুলিশ হেডকোয়ার্টার, মিন্টো রোড, ঢাকা বলে জানায়। কথাবার্তায় সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্প কমান্ডারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
ক্যাম্প কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে তারা একপর্যায়ে স্বীকার করেন, তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য নয়। গাড়িতে থাকা বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদে তার প্রকৃত নাম এবং পরিচয় জানা যায়। তার নাম মো. আহসান ইমাম (৩৩), বাবা মো. শাহজাহান মোল্লা, গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের বরফা পশ্চিম শুকতাইল এলাকায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, এই ব্যক্তি নিজেকে কখনো এডিসি, কখনো এএসপি হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলক কাজ করেন। গাড়িতে ‘মো. আমানুল্লাহ পলাশ’ নামধারী একটি পুলিশ সার্জেন্টের আইডি কার্ডও পাওয়া যায়। এটিও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত হয় বলে জানা যায়। গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। ৩ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ ক্যাম্প এ নিয়ে আসা হয়।
উক্ত ব্যক্তিদের পরিচয়, কার্যক্রম এবং মিথ্যা পরিচয় দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় প্রবেশের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধানসহ উখিয়া থানায় নিয়মিত মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় পানবাজার পুলিশ ক্যাম্পে একটি জিডিও করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।









-20251028132147.jpg)




























