ফেনীতে মন্দির, দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রবিউল হক (৩০) নামের আরও একজন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন তিনি।
রবিউল ছাগলনাইয়া উপজেলার মধ্যম মটুয়া গ্রামের আবদুল গনির ছেলে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) রবিউলকে আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান শুনানি শেষে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আগেরদিন রাতে তাকে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মধ্যম মটুয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার রাতে রবিউলকে ফেনীর সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে পাঠানো হয়।
গত ১৫ অক্টোবর ফেনীতে মন্দির, দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেন তিনি। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি আরও কয়েকজনের নাম বলেছেন।
রবিউল হক আদালতকে জানান, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদ জানাতেই তারা মূলত জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোকজন ছিল।
জানা যায়, র্যাব ও পুলিশের অভিযানে এ পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে মোট চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা আদালতে জবানবন্দিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহফুজুর রহমান জানান, গত ১৫ অক্টোবর রাতে ফেনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, আশ্রম ও দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুরসহ যেসব তাণ্ডব ঘটেছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে। ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।