ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)।
২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল হক বাদী মামলাটি করেন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদের (বীর বিক্রম) আইনজীবী কাজী এনায়েত হোসেন। তিনি বলেন, “রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের বক্তব্য শুনে এবং বয়সের বিবেচনায় আদালতের বিচারক তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।”
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভোলা জেলার লালমোহন থানার বদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল হক বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।
মামলার বর্ণনায় তিনি বলেন, “মামলার ২ নম্বর আসামি একই এলাকার মো. বাবুল হাওলাদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মেজর হাফিজ। ওই ফোনালাপে আপত্তিকর কথাবার্তা ছিল; যা দ্বারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়টি পরবর্তীতে গণমাধ্যমে প্রচার হয়। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ফরিদুল হক পরে মামলা দায়ের করেন।”
সেই মামলাটি বর্তমানে বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
এদিকে মামলায় হাজিরা দিতে এসে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) বলেন, “দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা না থাকায় বিএনপি মামলায় পর্যুদস্তু। ক্ষমতায় থেকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সব সময়ই সমন্নুত রেখেছেন এবং বর্তমান সরকার মামলাবাজ সরকার।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।