• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অ্যাশেজ-ব্যর্থতায় চাকরি হারালেন ইংল্যান্ড কোচ


মাসুম আব্দুল্লাহ
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২, ০৩:০২ পিএম
অ্যাশেজ-ব্যর্থতায় চাকরি হারালেন ইংল্যান্ড কোচ
ছবি সংগৃহীত

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাঁচ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে হারের জেরে ইংল্যান্ডের পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে এক দিন আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অ্যাশলি জাইলসকে। এবার অস্ট্রেলিয়াতে ভরাডুবির দায় মেটাতে খেসারত দিলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচ ক্রিস সিলভারউড। ব্যর্থতায় চাকরি হারালেন ইংল্যান্ড দলের এই কোচ। 

ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে এসব খবর জানিয়েছে।

এবারের অ্যাশেজ সিরিজে ভয়াবহ ব্যর্থ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে হারের সঙ্গে সিরিজ জুড়েই ইংলিশ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এ ছাড়া সবশেষ ১৪টি টেস্টে ইংল্যান্ড জিতেছে মাত্র একটিতে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সিলভারউডকে অনুমেয়ভাবেই ছাঁটাই করে দিল ইসিবি। 

ইংলিশ ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন জানিয়েছেন, ‘সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসকে জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে জাইলসের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন নতুন কোচ খুঁজে বের করার। আশা করছি তিনি শিগগির এ ব্যাপারে কাজ শুরু করবেন।

হ্যারিসন মনে করেন সিলভারউড ইংলিশ ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে সাফল্য পেতে সম্ভব সব কাজই করেছেন। তিনি নিজের সেরাটাই দিয়েছেন। তাঁর অধীনেই দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড। ইসিবি নির্বাহী সিলভারউডের কাজের প্রতি সততার ব্যাপারটিও তুলে ধরেছেন।

সাম্প্রতিক কালে নানা বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সিলভারউড। বিশেষ করে জাতীয় দলের নির্বাচক এডি স্মিথকে বরখাস্ত করার পর দল নির্বাচনের প্রক্রিয়াটা পুরোপুরি চলে আসে সিলভারউডের হাতে। অনেকেই মনে করেন জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাইলস এডি স্মিথের বরখাস্তের পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিজের হাতে নিয়ে সিলভারউড ‘রোটেশন পদ্ধতি’তে দল নির্বাচন শুরু করেন, যেটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। নিউজিল্যান্ড ও ভারতে গত বছর টেস্ট সিরিজ হারের পর থেকেই চাপের মুখে ছিলেন সিলভারউড। সেটি আরও বাড়ে অ্যাশেজের সময়।

তিনি বিশ্রাম দিয়ে খেলোয়াড়দের খেলাচ্ছিলেন। তিনি এর কারণ হিসেবে দেখাচ্ছিলেন করোনাকালীন জৈব সুরক্ষাবলয়ের মানসিক চাপের ব্যাপারটি। কিন্তু ‘রোটেশন পদ্ধতি’র মধ্যেই তার দল নির্বাচনের কিছু সিদ্ধান্ত ব্যাপক প্রশ্ন ও বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষ করে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে (ব্রিসবেন) ইংল্যান্ড দল থেকে কেন ইতিহাসের সেরা দুই ফাস্ট বোলার জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে বাদ দেওয়া হয়েছিল?

৪৬ বছর বয়সী ইংল্যান্ডের সাবেক পেসার সিলভারউড ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড দলের বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দেন। সে সময় প্রধান কোচ ছিলেন ট্রেভর বেইলিস। তার অধীন ২০১৯ বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে অ্যাশেজ সিরিজ ড্র করতে সক্ষম হয় দল। অ্যাশেজ সিরিজের পরপরই বেইলিসের জায়গায় কোচ করা হয় সিলভারউডকে।

কিন্তু তার অধীনে টেস্টে ইংল্যান্ড কখনোই ভালো করেনি। অধিনায়ক জো রুটের দুর্দান্ত ফর্মের পরও টেস্টে ইংল্যান্ডের এই ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা উঠছিল। অ্যাশেজের ব্যর্থতার পর সমালোচনাটা রীতিমতো সিলভারউডকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে পরিণত হয়।

সিলভারউডের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন এমন প্রশ্ন ক্রিকেটবোদ্ধাদের মাঝে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে বেশ কয়েকটি নাম উঠে আসছে। তাদের মধ্যে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান ও ভারতকে ২০১১ বিশ্বকাপ জেতানো কোচ গ্যারি কারস্টেন, সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালেক স্টুয়ার্ট ও অস্ট্রেলিয়ান তারকা ও সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তবে স্ট্রাউস কাকে কোচের আসনে বসান এটাই এখন দেখার বিষয়। 

খেলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!