এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা পর্বের প্রতিটি ম্যাচেই বৃষ্টি হানা দেয়। সামনের সুপার ফোরের ম্যাচগুলোতেও বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ পরিত্যক্ত ও নেপাল-ভারতের ম্যাচে বৃষ্টির কারণে ওভার কমিয়ে দেওয়ার পর গুঞ্জন উঠে এশিয়া কাপের ভেন্যু সরিয়ে নেওয়ার। কিন্তু শেষ অবধি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আগের সূচিতেই ম্যাচগুলো আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন।
তবে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) নতুন নিয়ম নিয়ে হাজির হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।
সুপার ফোরে শুধু ভারত-পাকিস্তান এবং ফাইনাল ম্যাচে রিজার্ভ ডে রেখেছে এসিসি। কিন্তু বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচগুলোতে এমন সুবিধা রাখা হয়নি। এক্ষেত্রে দুই দলের কোনো ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলে পয়েন্টে টেবিলে সেটি পিছিয়ে দিতে পারে দলগুলোকে। এমন নিয়ম ঠিক নয় আমরাও একটি দিন বেশি পেলে খুশি হতাম বলে জানান বাংলাদেশ দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কোচ বলেন, “আমি নিশ্চিত প্রতিটি দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি করা একটি টেকনিক্যাল কমিটি আছে। ছয়টি দেশেরই লোক আছে ওখানে। তারা নিশ্চয়ই কোনো কারণে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হ্যাঁ, এটা আদর্শ কিছু নয়। আমরাও একটা অতিরিক্ত দিন পেলে খুশি হতাম। এর বাইরে আমার খুব বেশি কিছু বলার নেই, কারণ তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে।”
হাথুরুসিংহে আরও বলেন, “যখন আপনি একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন, তখন আসলে খুব বেশি কিছু বলার থাকে না। যদি আগে আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হতো, তাহলে আমরা কিছু একটা বলা পছন্দ করতাম। যেহেতু ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, আমি খুব বেশি চিন্তা করছি না। আমরা শুধু সেটাই করবো, যা করতে বলা হবে। আমি এরকম কিছু অন্য টুর্নামেন্টে দেখিনি। টুর্নামেন্টের মাঝখানে এমন নিয়ম বদলে ফেলা কোথাও হয় না।”
এবার এশিয়া কাপ হাইব্রিড মডেলে হচ্ছে। এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ পাকিস্তান হলেও শ্রীলঙ্কা থাকছে সহ-আয়োজন দেশ হিসেবে। তাই ভারত বাদে বাকি ৫ দেশকে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানে গিয়ে ম্যাচ খেলতে হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ সহ বাকি দেশগুলোকে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। প্রথম পর্বের দুই ম্যাচ ভিন্ন দেশে খেলতে হয়েছে অল্প সময়ের ব্যবধানে। এশিয়া কাপে টাইগাররা দুই দেশের ভিন্ন কন্ডিশনে খেলেছে। বাংলাদেশের মাস্টার মাইন্ড এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন। হাথুরু বলেন, “আমার মনে হয় না এখানে কন্ডিশন বা প্রতিপক্ষের ব্যাপার খুব বেশি আছে। আমরা দেশের বাইরে খেলছি, দুই দেশেই আলাদা কন্ডিশন। আমাদের জন্য ভালো চ্যালেঞ্জ, এটাকে কাটিয়ে উঠতে হবে আমাদের।”
