আইপিএলের আসরে এবার প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দুই তারকা গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলি। বাদানুবাদ এতটাই গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছিল, ম্যাচ ফিয়ের ১০০ শতাংশই কর্তন করা হয়েছে এই দুই ভারতীয় সাবেক ও বর্তমান তারকার। মাঠের দৃশ্য দেখেননি দিল্লির সহকারী কোচ শেন ওয়াটস। তিনি সম্ভবত টিভিতে দেখেছেন। তিনি মনে করেন, এ ঘটনায় বেশি দায় গম্ভীরের।
ঘটনা গত সোমবারের। আইপিএলে সোমবার (১ মে) রাতে মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লখনৌ সুপার জায়ান্টস। প্রথমে ব্যাট করে ১২৬ রান তোলে বেঙ্গালুরু। জবাবে ১০৮ রানে থেমে যায় লখনৌ।
ম্যাচে শেষে দুই দলের খেলোয়াড় ও স্টাফদের মধ্যে হাত মেলানোর সময় কোহলির সঙ্গে গম্ভীরের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এর আগে ম্যাচের সময় লখনৌর আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নবীন উল হক আউট হওয়ার সময় কোহলিকে দেখা যায় বেশি উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করতে। তিনি মাথার ক্যাপ খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন।
এরপর ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলেন নবীন। পাল্টা জবাব দেন কোহলি। এরপর কোহলিকে কিছু একটা বলেন গম্ভীর। তারপর দুজনকে বিবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগে লোকেশ রাহুল ও ফাফ ডু প্লেসিস দুজনকে সরিয়ে নিয়ে যান।
আইপিএল কর্তৃপক্ষ এমন ঘটনায় যে চুপ থাকবে না সহজেই অনুমেয় ছিল। তাদের শাস্তি পাওয়ার বিষয়টি ছিল অবধারিত। এই দুই ক্রিকেটার আচরণবিধির দ্বিতীয় স্তরের ২.২১ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। তাদের বেশ কঠিন শাস্তিই দেওয়া হয়েছে। শাস্তি হিসেবে দুজনের ম্যাচ ফির পুরোটাই কেটে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নবীন উল হককেও শাস্তি পেতে হয়েছে। তবে তিনি পেয়েছেন কম শাস্তি। তার ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। তবে এই শাস্তি শুনানি ছাড়া নাকি শুনানিসহ হয়েছে, সে সম্পর্কে জানা যায়নি।
দিল্লির সহকারী কোচ ওয়াটসন বলেন, "বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীরের মধ্যে যা হয়েছে, তা কাম্য নয়। সবচেয়ে বড় কথা, গৌতম গম্ভীর তো সেই ম্যাচ খেলছিল না।"
তিনি আরও বলেন, "মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা ভালো। তাতে খেলোয়াড়রা সেরাটা দিতে পারে। কিন্তু সেটা যেন মাঠের বাইরে না ছড়ায়। মাঠের বিষয় মাঠেই রেখে আসতে হয়।"