শেষ বলে জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান। মোসাদ্দেক হোসেনের শেষ বলে ৪ রান করলেও ম্যাচ গড়াবে সুপার ওভারে। এমন সময় মোসাদ্দেককে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে বল মিস করেন ব্লেসিং মুজারাবানি। তাতেই স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন।
স্ট্যাম্পিংয়ের পর উল্লাসে মেতে উঠে বাংলাদেশ দল। এমন সময়ই স্ট্যাম্পিং চেক করা শুরু করেন ম্যাচে দায়িত্ব পালন করা টিভি আম্পায়ার। সেই সময় টিভি আম্পায়ারের চোখ আটকে যায় নুরুল হাসান সোহানের হাতের দিকে।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক বল ধরেছেন স্ট্যাম্পের সামনে থেকে। তাতেই ‘নো বল’ কল করেন থার্ড আম্পায়ার। তাতেই ম্যাচ জয়ের উদযাপণ বন্ধ করে নতুন করে খেলা শুরু করতে হয় সাকিব আল হাসান বাহিনীকে।
নো বলের পর শেষ বলে জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪ রান। তবে শেষ বলেও ঠিক একইভাবে মারতে আসেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এবারও ব্যর্থ, তাতেই ৩ রানের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
ম্যাচ শেষে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কার নিতে এসে তাসকিন জানান, তিনি কখনই এমন দেখেননি। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস এমন ঘটনাকে অদ্ভূত বলে অবহিত করেন।
শেষ বলের এই নাটকীয়তা ছাপিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে এই প্রথম দুই জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই জয়ের পর দ্বিতীয়বার জয় পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৫ বছর। চলতি বছর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ওই জয়খরা কাটায় বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :