বাংলাদেশ মাত্র কয়েকদিন আগে পাকিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরেছে দুই টেস্টেই স্বাগতিক দলকে পরাজিত করে। এবার বাংলাদেশ দল যাবে ভারতে একইভাবে দুই টেস্টের সিরিজে অংশ নিতে।
ভারতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল আগেই জানিয়ে রেখেছিল, দুলীপ ট্রফির প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ থেকেই বাছাই করা হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের জন্য ভারতের টেস্ট দল। কিন্তু দুলীপ ট্রফি চলাকালেই একটি বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন ভারতের নির্বাচকরা। সেটা হলো বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের বোলিং লাইনআপ গঠন নিয়ে।
জাসপ্রিত বুমরাহ থাকবেন বিশ্রামে। নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদেরই মাঠে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির জন্য বুমরাহকে ফিট রাখতে চায় ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। সে কারণে থাকছেন না এই পেসার। অন্যদিকে মোহাম্মদ শামিকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা থাকলেও চলতি মাসেই তার সেরে ওঠার সম্ভাবনা খুব একটা নেই। যে কারণে তাকে ছাড়াই বাংলাদেশ সিরিজের দল সাজাতে পারে ভারত।
মোহাম্মদ সিরাজ ছাড়া ভারতের পেস লাইনআপে নিশ্চিত নন কেউই। এমন অবস্থায় দুলীপের পারফরম্যান্সই ভরসা ভারতের নির্বাচকদের জন্য। সেখানেও খুব একটা সুখবর নেই। একমাত্র আকাশ দীপ ছাড়া জাতীয় দলের রাডারে থাকা বাকি সব পেসারই হতাশ করেছেন।
ইন্ডিয়া ‘ডি’ দলের আর্শদ্বীপ সিংয়ের ওপর নজর ছিল সবচেয়ে বেশি। কদিন আগেই ভারতকে জিতিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা। কিন্তু, আর্শদ্বীপ কিছুটা যেন হতাশই করেছেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ইন্ডিয়া ‘সি’ দলের বিপক্ষে পেয়েছেন মাত্র ২ উইকেট। হারশিত রানা দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলেন উইকেটশূন্য।
তবে এই ম্যাচে নজর করেছেন বোলিং অলরাউন্ডার মানভ সাথুর। একই ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন ২২ বছরের এই তরুণ। যদিও জাতীয় দলে ওই জায়গা আগে থেকেই পাকা করে রেখেছেন হার্দিক পান্ডিয়া।
তবে ভারত ‘এ’ দলের আকাশ দীপ ছিলেন সবচেয়ে বেশি সফল। প্রথম ইনিংসে ২৭ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ভাল করেছেন। ৫৬ রানে ৫ উইকেট নেন এই পেসার। ভারতের গণমাধ্যমের মতে, আপাতত বাংলাদেশ সিরিজে তার জায়গা পাওয়া সময়ের ব্যাপার। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত বাকি পেসারদের উইকেট না পাওয়াটাও যেন ভারতের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়।