বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষটায় বিব্রতকর অভিজ্ঞতা সঙ্গী হয়েছে আর্জেন্টিনার। ইকুয়েডরের কাছে ১-০ গোলে হারের সঙ্গে লাল কার্ড দেখেছেন নিকোলাস ওতামেন্ডি!
মেসির অনুপস্থিতিতে বিকল্প লাইনআপ নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন স্ক্যালোনি। কিন্তু বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা ছিল ছন্দহীন। তার ওপর মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়ে খেলেছে দুই দল। লাল কার্ড দেখতে হয়েছে দুই দলকেই!
প্রথমার্ধে বেশির ভাগ সুযোগ পেয়েছে ইকুয়েডরই। শুরুর দিকে এমি মার্টিনেজ দেয়াল হয়ে দাঁড়ানোয় গোল হজম করতে হয়নি। লিওনার্দো বালের্দিও ব্লকের শিকার হন পেনাল্টি এরিয়ায়।
এই অর্ধে এমি মার্টিনেজ আরও একটি সেভ করে দলকে রক্ষা করেন। বিপরীতে চাপ অব্যাহত রাখে ইকুয়েডর। সেই চাপের মুহূর্তেই ভুল করে বসেন ওতামেন্ডি। পেছন থেকে একজনকে ধাক্কা মেরে ৩১ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন তিনি। কার্ডের কারণে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন না।
ওতামেন্ডির লাল কার্ডের পর দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন রদ্রিগো দে পল। তাতেও পরিস্থিতির হেরফের হয়নি। এই অর্ধের ইনজুরি সময়েই পাগলাটে কাণ্ডে গোল হজম করে আর্জেন্টিনা । বল দখলে নেওয়ার জন্য পেনাল্টি এরিয়া ছুটছিলেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো। কিন্তু তার হাত ইকুডোরিয়ান এক খেলোয়াড়ের মুখে লাগলে রেফারি ভারের সহায়তায় পেনাল্টির রায় দেন। ভ্যালেন্সিয়ার স্পট কিক থেকেই জাল কাঁপিয়ে এগিয়ে যায় ইকুয়েডর। বিরতির পর লাল কার্ড দেখেন ইকুয়েডরের কাইসেদো।
ভাগ্য ফেরাতে স্ক্যালোনি আলভারেজ, মাস্তানতুনো, মলিনা ও লে সেলসো বদলি হিসেবে নামালেও স্কোরলাইনে আর বদল হয়নি। একমাত্র গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইকুয়েডর।
এমনকি ১৮ বছর বয়সী ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনো মেসির দশ নম্বর জার্সি পরে ৬২ মিনিটে লিয়ান্দ্রো পেরেদেসের বদলি হয়ে নামলেও সেই ঝলকটা দেখা যায়নি।
শেষ ম্যাচ হারলেও আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়েছে আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপ খেলবে ব্রাজিল, উরুগুয়ে, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়েও।