• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

সুপার কাপের শিরোপা জিতল ম্যানচেস্টার সিটি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৩, ১২:০৭ পিএম
সুপার কাপের শিরোপা জিতল ম্যানচেস্টার সিটি
ছবি: সংগৃহীত

সুপার কাপের ফাইনালে শুরু থেকে দুদলের লড়াই ছিলো জমজমাট। ৯০ মিনিট পর্যন্ত কেউ কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলেনি। গ্রিসের এথেন্সে বুধবার (১৬ আগস্ট) নির্ধারিত সময়ে ১-১ ড্রয়ের পর শিরোপা নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৪ গোলে জিতে উয়েফা সুপার কাপ জয়ের উল্লাসে মাতে পেপ গার্দিওলার দল।

ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ইউরোপা লিগ জয়ীদের নিয়ে বিশেষ এক ম্যাচ আয়োজন করে, যার নাম উয়েফা সুপার কাপ। সেই সুপার কাপ জয় করে শেষ হাসিটা হাসলো ম্যানচেস্টার সিটি।

ম্যান সিটির দল ছেড়ে এরই মধ্য চলে গিয়েছে ইকাই গুন্দোয়ান ও রিয়াদ মাহারেজ। তার সঙে কেভিন ডি ব্রুইনার হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি শুরুতেই ব্যাকফুটে ম্যানসিটি। নতুন আসা মাতেও কোভাচিচ, রদ্রি আর কোল পালমারদের তালমিলটা এখনও জমেনি বলে শুরুটাও ছিল নড়বড়ে। তারপরও ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে সিটি। সপ্তম মিনিটে কোল পালমার শট ফিরিয়ে দেন সেভিয়ার গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনো। এর কিছুক্ষণ পর গ্রিলিশের জোরালো শটও ঠেকান তিনি।

 ম্যাচের ২৫ মিনিটে বিরতিও দেওয়া হয়েছিল খেলায়। আর কুলিং ব্রেক থেকে ফিরেই বাজিমাত সেভিয়ার। গোল পেয়ে যান ইউরোপাজয়ী দলটি। আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্কোস আকুনার দারুণ ক্রসে বক্সে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারের মধ্যে লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন মরক্কোর ফরোয়ার্ড ইউসেফ এন-নেসিরি। প্রথমার্ধের বাকি সময় ম্যান সিটি আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখলেও পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় তাদের।

বিরতির পরেই অবশ্য সিটিকে দেখা গেল আরও ভয়ংকর রূপে। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রদ্রির ক্রসে দূরের পোস্টে হেডে বল জালে পাঠান পালমার। চলতি মৌসুমে সিটির হয়ে ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের দ্বিতীয় গোল এটি। ম্যাচের বাকি সময়ও আক্রমণ করে যায় সিটি, তবে সেগুলো রুখে দেন সেভিয়ার গোলরক্ষক।

ছবি: সংগৃহীত

উয়েফার নতুন নিয়মে, নির্ধারিত সময়ের খেলা ড্র থাকলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সিটির হয়ে লক্ষ্যভেদ করেছেন আর্লিং হলান্ড, জুলিয়ান আলভারেজ, মাতেও কোভাচিচ, জ্যাক গ্রিলিশ আর কাইল ওয়াকার। বিপরীতে সেভিয়ার ওকাম্পোস, রাফা মির, রাকিতিচ এবং মন্তিয়েল গোল করলেও মিস করেন নেমানিয়া গুলেদি। আর তাতেই ইউরোপ সেরার চক্রপূরণ করলো ম্যানচেস্টার সিটি।

এই শিরোপা জয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়া হলো পেপ গার্দিওলার। কার্লো আনচেলত্তির পর মাত্র দ্বিতীয় কোচ হিসেবে চরবার উয়েফা সুপার কাপ জিতলেন এই স্প্যানিশ কোচ। 

Link copied!