বেশ কয়েকবার খেলা শুরুর সম্ভাবনা হলেও বৃষ্টি বাঁধায় দেরী হয়েছে এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিট। এত বিলম্বে যেন বৃষ্টির উপর বেজায় চটে গিয়েছিলেন লিটন। মাঠে নেমে সেই রাগ পুরোটাই ঝেড়েছেন আয়ারাল্যান্ডের বোলারদের উপর। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন রনি তালুকদার।
লিটনের সাথে তাল মেলানোর চেষ্টা করেছেন প্রতিনিয়ত। দুজনের তাণ্ডবে তৈরি হয়েছে নতুন রেকর্ড। দলীয় ১২৪ রানে রনি ফিরলেও এর আগেই দুজনে মিলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড গড়েছেন। এমনকি সব জুটি মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি।
১৭ ওভারের খেলায় পাওয়ার প্লে দেওয়া হয়েছিল পাঁচ ওভার। সেখানে প্রথম দুই ওভারে লিটন আর রনি তালুকদার মিলে তোলেন ২১ রান। তৃতীয় ওভারে আসে আরও ১৬ রান।
চতুর্থ ওভার থেকেই নিজের ভয়ঙ্কর রুপ দেখানো শুরু করেন লিটন। ওই ওভারের প্রথম তিন বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। পরের ওভারেও একই পরিসংখ্যান। প্রথম তিন বলে লিটন হাঁকান এক ছক্কা ও দুই চার।
পাওয়ার প্লের পাঁচ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৭৩ রান। এরপর ইনিংসের ষষ্ট ওভারে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আইরিশ বোলার বেঞ্জামিনের করা ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে নিজের ফিফটি স্পর্শ করেন লিটন। ফিফটি স্পর্শ করার সময়ে লিটন খেলেছেন মাত্র ১৮ বল।
এটাই এখন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। এর আগে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বলে ফিফটি করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এটাই এতদিন বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ছিল। এবার সেটাই ভেঙে নিজের নামে লেখালেন লিটন।
এরপর দলীয় ১২৪ রানে আউট হন রনি। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৩ রানের ইনিংস। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এক উইকেট হারিয়ে ১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩০ রান। ব্যাট হাতে লিটনের সাথে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
আপনার মতামত লিখুন :