বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই পাকিস্তান দল নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। সবশেষ দল হিসেবে ভারতে যাওয়ার ভিসা পায় তারা। দল যেতে পারলেও, ভিসা না পাওয়ায় ভারতে যেতে পারেননি কোন সাংবাদিক এবং দর্শকরা। সবকিছুকে পেছনে ফেলে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের শুরুটা দারুণ করেন বাবর আজমের দল। প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে তারা হারিয়েছে ৮১ রানে আর দ্বিতীয় ম্যাচে সর্বোচ্চ চেজ করে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। দারুণ খেলতে থাকা দলটি ভারতের বিপক্ষে গিয়ে খেললো বাজে এক ক্রিকেট। রোহিত শর্মাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি দলটি। বিশ্বকাপে আটবারের দেখায় সব কয়টা ম্যাচেই হেরেছে পাকিস্তান।
যার সবশেষ ম্যাচটি গতকাল(রবিবার) আহমেদাবাদে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শকের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করতে হয়েছে। এরপর পুরো আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে বিশ্বকাপ নয়, এটি কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ।”
ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ভেন্যু আহমেদাবাদের স্টেডিয়ামের পুরোটা জুড়েই ছিল ভারতীয় দর্শক। ভিসা না পাওয়ায় ভারতীয় দর্শক ছিল হোতে গোনা কয়েকজন। তার ওপরে ম্যাচের টস শেষ করে ড্রেসিং রুমে যাবার সময় পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে শুনতে হয়েছে দুয়োধ্বনি। সব মিলে ভারতের পক্ষে পরিবেশটা সাজানো হয়েছে বলে জানান পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার।
আর্থার বলেন, “সত্যি বলতে এটি দেখে ঠিক আইসিসি ইভেন্ট মনে হয়নি। মনে হয়েছে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, যেন এটি বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট। আজ রাতে লাউড স্পিকারে বাজছে ‘দিল দিল পাকিস্তান’ এমনটা খুব একটা শুনিনি।”
তবে ম্যাচ হারের জন্য এটিকে অজুহাত মানছেন না মিকি। পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর বলেন, “হা ম্যাচে এটির ভূমিকা ছিল, তবে একে অজুহাত হিসেবে দেখাতে চাই না। কারণ, সবাইকে ওই নির্দিষ্ট মুহূর্তে বাঁচতে হয়, পরবর্তী বলে কী হচ্ছে, কীভাবে ভারতীয়দের বিপক্ষে, ভারতের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে লড়াই করব, সেটিই বড় ব্যাপার ছিল। এ পুরো পরিবেশ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারব বলে মনে হয় না। আমি জরিমানা দিতে চাই না।”
ভারতীয় দলকেও সাদুবাদ জানিয়েছেন সাবেক প্রোটিয়া এই ক্রিকেটার। আর্থার বলেন, “আমার মনে হয়, আমাদের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে ঠিক নিজেদের মেলে ধরতে পারিনি। বড় একটা উপলক্ষ্য যেহেতু, আমাদের আরেকটু নিয়ন্ত্রণ নিতে হতো। আমরা একটু খোলসে ঢুকে গিয়েছিলাম। ২ উইকেটে ১৫৫ থেকে ১৯০ এর আশপাশে গিয়ে অলআউট হয়ে যাওয়া, মোটেও মেনে নেওয়া যায় না। ভারতকে কৃতিত্ব দিতে হয়, তারা অনেক ভালো বোলিং করেছে।”
মিকির মনে প্রাণে আশা বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের সঙ্গে খেলার। তবে, তার সে আশা পূরণ হবে কিনা সেটা সময় বলে দিবে।