শেষের আগেই ‘শেষ’ চান পাপন

নাজমুল হাসান পাপনের কাঁধে এবার আরও বড় দায়িত্ব। সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন তিনি। বিসিবি সভাপতি, সংসদ সদস্য ও বেক্সিমকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী- এতদিন এই তিনটি বড় দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে টানা চতুর্থ মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া পাপন।  বড় দায়িত্বের কারণে বিসিবির সভাপতি পদ ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন তিনি, তাও আবার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই। 

রাজনীতিবিদ কিংবা ব্যবসায়ী এই দুই পরিচয় ছাপিয়ে পাপনকে ক্রিকেটের মানুষ বলেই জানেন বেশিরভাগ লোক। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি তিনি। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে বিসিবি সভাপতি পদে বর্তমান মেয়াদ শেষ হবে তার।  

পাপন বলেছেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে বিসিবির সঙ্গে মন্ত্রীত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। আগেও আমাদের এখানে অনেক মন্ত্রী ছিলেন, যারা বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদেশেও আছে। কিন্তু সেটা ইস্যু না। আমার আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল, এই মেয়াদেই দায়িত্ব ছাড়ার। যেটা শেষ হবে আগামী বছর। আমি চেষ্টা করব এ বছর শেষ করা যায় কিনা।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর চতুর্থ মেয়াদে বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন পাপন। বোর্ড পরিচালকের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। বোর্ডে সভাপতি আগে সরকার থেকে মনোনীত হতো। পাপন ২০১২ সালে প্রথমে সরকার কর্তৃক মনোনীত সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে বিসিবি সভাপতি পদটি নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পাপন। বর্তমানে চতুর্থ মেয়াদ চলছে তার বোর্ড সভাপতি পদে।