• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ১২:০৬ এএম
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত
ছবি : সংগৃহীত

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারত নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানে হারিয়েছে। এই জয়ে রোহিত শর্মাদের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ এই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে তারা। ভারত দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্টে নিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচে থেকে একদল ভারতের প্রতিপক্ষ হিসেবে ফাইনাল খেলবে। আর সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে রোহিত শর্মার দল। এই ম্যাচ শুধুই নিয়মরক্ষার ম্যাচ হিসেবে দুই দল মাঠে নামবে।

একদিনের ভিতর ছন্দপতন ভারতের ব্যাটিংয়ে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) যে দলটি পাকিস্তানের বিপক্ষে সাড়ে তিনশর ওপরে রান করেছিল। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) তারাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে দুনিথ ওয়েল্লালেগে ও চারিত আসালাঙ্কার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২১৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে ভারতরে ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে বোলাররা জ্বলে ওঠেন। তাদের বোলিং তোপের মুখে লঙ্কানরা তোলে ১০ উইকেটে ১৭২ রান।

শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামা ভারতের শুরুটা হয়েছিল উড়ন্ত। ১১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮০ রান তুলেছিল দলটির দুই ওপেনার। এরপরই ছন্দপতন দলটির ব্যাটিংয়ে। ওয়েল্লালেগে বোলিংয়ে এসেই গিল-রোহিতদের জুটি ভাঙ্গেন। দুই ওপেনারকে ফেরানোর মাঝে বিরাট কোহলিকে দাঁড়াতেই দেননি এই স্পিনার। ১১ রানের ব্যবধানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে তুলে নিয়ে ম্যাচের মোমেন্টাম ঘুরিয়ে দেন বাঁহাতি এই অর্থডোক্স বোলার।

এই মাঠে চারটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা কোহলি, এদিন আউট হন ৩ রানে। নিজের প্রথম দুই ওভারে গিল-কোহলিকে ফেরানোর পর তৃতীয় ওভারে ৫৩ রানে থাকা অধিনায়ককে বোল্ড আউট করে ওয়েল্লালেগে প্যাভিলিয়ানের পথ ধরান। এরপর চতুর্থ উইকেটে ইশান কিষানকে নিয়ে জুটি গড়েন লোকেশ রাহুল। এই জুটি থেকে আসে ৬৩ রান। মাথা ব্যাথা হয়ে ওঠা লাঙ্কানদের হয়ে এই জুটিও ভাঙ্গেন ওয়েল্লালেগে। ৩৯ রান করা উইকেটকিপার ব্যাটার রাহুলকে ফেরান তিনি।

এই উইকেটরক্ষক আউট হওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে ভারতের মিডল অর্ডার ও লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটিং লাইন আপ। ইশান কিষান ৩৩ রানের বিদায়ের পর দ্রুত ফিরে যান হার্দিক পান্ডিয়া-রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদব। ৮০ রানে প্রথম উইকেট হারান ভারত। পরের ১০৬ রান যোগ করতেই হারায় ৮ উইকেট। এরপর শেষ দিকে আক্ষর প্যাটেল ও মোহাম্মদ সিরাজের ২৭ রানের জুটিতে ভারত দুইশ ছাড়ায়। শেষ উইকেট হিসাবে প্যাটেল বিদায় নিলে ৪৯.১ ওভারে ভারতের ইনিংস থামে ২১৩ রানে।  শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়েল্লালেগে ৪০ রান খরচে শিকার করেন ৫ উইকেট আর ৯ ওভারে ১৮ রান দিয়ে আসালাঙ্কা নেন ৪ উইকেট।

সহজ রানের লক্ষ্য তাড়া করেতে নামেন লঙ্কান দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুণারত্নে। এই দুই ওপেনার শুরুতেই বিদায় নিয়েছেন। ৬ রান করা নিশাঙ্কাকে প্রথমে ফেরান জাসপ্রিত বুমরাহ। এরপর বুমরাহ নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন ১৫ রানে কুশাল মেন্ডিসকে আউট করে। মেন্ডিসের বিদায়ের পর লঙ্কান স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না করতেই ডাগ-আউটে ফিরে যান করুণারত্নে।

এসময় স্বাগতিকরা ২৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। লঙ্কানদের চাপ মুক্ত করতে সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালাঙ্কা জুটি গড়েন। তাদের জুটি থেকে আসে ৪৩ রান। সামারাবিক্রমা ১৭ রানে আউট হলে এই জুটির মৃত্যু হয়। এরপর আবারও শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনে ধস নামে। আসালঙ্কা ২২ রানে এবং অধিনায়ক দাসুন শানাকা ৯ রানে ফিরে যান।

একশত রানের আগেই ৬ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে জয়ের দিকে নিতে থাকেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও ওয়েল্লালেগের জুটি। ৪১ রানে সিলভা আউট হলে এই জুটি ভাঙে। অন্যদিকে লঙ্কানদের হয়ে একাই লড়ে গিয়েছেন ওয়েল্লালেগে। তিনি এক প্রান্ত আগলে রেখে স্বাগতিকদের জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন কিন্তু তাকে কেউ যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি এদিন। এই অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার ইনিংস থামে ৪১.৩ ওভারে ১৭২ রানে গুটিয়ে গেলে। ভারতের হয়ে কুলদীপ যাদব ৪৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। 

Link copied!