মেগাস্টার সাকিব আল হাসানকে বাংলা সাহিত্যের প্রয়াত মায়েস্ত্রো হুমায়ূন আহমেদ একটি বই উৎসর্গ করেছিলেন। ভীষণ জনপ্রিয় সে আত্মজৈবনিক বইয়ের নাম "ফাউন্টেনপেন"।
উৎসর্গপত্রে হুমায়ূন লিখেছিলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি এই তরুণকে চিনি না, কিন্তু মুগ্ধ হয়ে তার ক্রিকেট খেলা দেখি। সাকিবের কাছে কুইজ, ক্রিকেট এগারোজন খেলোয়াড় খেলেন। কেন বারোজন না বা কেন দশজন না? সংখ্যাটা এগারো কেন?”
এ কুইজের উত্তর জানা নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ১০/১২ কিছুই লাগে না। সাকিব তার হিরন্ময় বাম হাত দিয়ে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন এককভাবে। যখন যেভাবে দরকার। কোনো ম্যাচে ব্যাট দিয়ে। কখনো স্পিন ঘূর্ণিতে ম্যাচ বের করেছেন উইকেট উপড়ে ফেলে।
মাগুরায় ১৯৮৭ সালের আজকের দিন ২৪ মার্চ জন্ম নেয়া সাকিব এক বিশ্বতারকা। অন্য যে কারও চেয়ে তিনি এগিয়ে থাকা একজন। ড্যামকেয়ার তিনি না হয়ে আর কে হবেন?
টেস্টে সাকিবের ৪ হাজারের ওপর রান আছে। ওয়ানডেতে এ সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি। টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ২ হাজারের বেশি রান। এসব হচ্ছে তার ব্যাট ধরা হাতের কীর্তি। বোলার সাকিবের টেস্টে উইকেট প্রাপ্তি ২৩১টি। তার অর্জন করা ওয়ানডেতে উইকেট সংখ্যা ৩শ এর বেশি। টি-টোয়েন্টি খেলে উইকেট পেয়েছেন ৩৩১ টি।
বিশ্বে লাল সবুজের পতাকা গর্ব ধারণ করে ওড়ে ক্রিকেটের কারণে। হারি-জিতি বাংলাদেশ মুখে বললে, হৃদয়েও তা ধারণ করা উচিত। একটা দায়বদ্ধতা থাকা উচিত বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে যে কোনো মন্তব্যের আগে। আর এ মাধ্যমে আমাদের শীর্ষ তারকা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে থাকা উচিত বিশেষ সংবেদনশীলতা। কারণ, এক সাকিব বারবার জন্মান না।
আপনার মতামত লিখুন :