বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে ২০০০ সালে, শ্রীলঙ্কা ১৯৮১ সালে। লঙ্কানদের অভিজ্ঞতা ৪৩ বছরের, সেখানে বাংলাদেশের ২৪ বছরের। কিন্তু দুই দেশের টেস্ট শক্তির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। পরস্পরের লড়াইয়ে যেখানে শ্রীলঙ্কা ১৯ বার জিতেছে, সেখানে বাংলাদেশ জিতেছে একবার। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, কেন বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে টানা দুই টেস্টে হারলো।
শ্রীলঙ্কার কাছে ষষ্ঠবারের মতো হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে ১৯২ রানে হারিয়ে সিরিজ (২-০) জিতলো লঙ্কানরা।সিলেটে প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানে জিতেছিল তারা। এটা ১২তম সিরিজ জয় শ্রীলঙ্কার।
এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩টি সিরিজে একটিতে ড্র করেছে বাংলাদেশ। বাকিগুলো জিতেছে লঙ্কানরা।
চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১৮ রান করে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৭৮ এবং শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান (ডিক্লেয়ার্ড) করে।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে যদি কিছুটা ভালো করতো কিংবা পঞ্চম দিনে নামার সময় কয়েকটি উইকেট বেশি হাতে থাকতো, তাহলে ফলাফল অন্যরকম হতেও পারতো।
বুধবার ৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি হাঁকান মিরাজ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮১ রানে (১১০ বলে ১৪টি চারে) অপরাজিত থাকেন তিনি। তাইজুল ১৪, হাসান মাহমুদ ৬, খালেদ আহমেদ ২ রানে আউট হন।
এরআগে, মঙ্গলবার দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ২৪ ও জাকির হাসান ১৯ রান করে আউট হন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ২০ রানে ফিরে যান। সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক ৮টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কায় ৫৬ বলে ৫০ রান করে আউট হন। সাকিব আল হাসান ৩৬, লিটন দাস ৩৮, শাহাদাত হোসেন দিপু ১৫ রানে ফেরেন।
শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিজ ম্যাচসেরা ও সিরিজসেরা নির্বাচিত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :