আফগানিস্তানকে ১২৯ রানে বেঁধে ফেলল পাকিস্তান। বাবর আজমরা জিতলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হবে ভারত ও আফগানিস্তানের। আর তাতে ফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ হবে আন্ডারডগ হিসেবে এশিয়া কাপ শুরু করা শ্রীলঙ্কা।
শারজায় এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টস জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান তুললেও পরের ওভারে তা পুষিয়ে নেয় আফগানিস্তান।
মোহাম্মদ হাসনাইনের করা ওভারে ১৬ রান তোলে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও হযরতউল্লাহ জাজাঈ জুটি। নাসিম শাহর পরের ওভারে আসে ৭ রান। চতুর্থ ওভার করতে এসে প্রথম দুই বলে মাত্র ২টি চার হজম করেন হারিস রউফ। পরের বলে তিনি জাজাঈয়ের উইকেট নিয়ে নিতে পারতেন, যদি না নাসিম শাহ থার্ডম্যান অঞ্চলে ক্যাচটি মিস করতেন। তবুও উইকেটের জন্য ১ বলের বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারকে। এক বল বিরতিতে তিনি তুলে নেন গুরবাজের উইকেট। ১১ বলে ১৭ রান করে আউট হন আফগান ওপেনার।
হাসনাইন পরের ওভারে শিকারে পরিণত করেন জাজাঈকে। জাজাঈ ১৭ বলে করেন ২১ রান। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে চারে খেলতে নেমে সব লাইমলাইট কেড়েছিলেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। ঠিক তার পজিশনেই খেলতে নেমেছিলেন করিম জানাত। তবে তিনি নেওয়াজের মতো বাজিতে জিততে পারেননি। বরং আফগানদের রানের চাকাটা তার জন্যই কিছুটা মন্থর গতির হয়ে যায়। নেওয়াজের বলে ফেরার আগে ১৮ বলে ১৫ রান করেন তিনি।
আফগানিস্তানের মিডলঅর্ডারের বড় শক্তি নাজিবউল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। আজ এ দুজন ব্যর্থ হয়েছেন বাজেভাবে। ১১ বলে জাদরান ১০ এবং নবি গোল্ডেন ডাকে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। পাঁচ উইকেট চলে গেলেও ভরসা হয়ে ক্রিজে ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। তিনি দলের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেললেও আউট হয়ে যান ১৭তম ওভারে। ৩৭ বলে ৩৫ রান করেন এ তারকা।
শেষ দিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাঈয়ের ১০ ও রশিদ খানের ১৮ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে আফগানিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে হারিস নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান নাসিম শাহ, হাসনাইন, নেওয়াজ ও শাদাব খান।





































