মরক্কোর বিপক্ষে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেও জয় তুলে নিতে পারেনি সর্বশেষ আসরের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে কানাডার বিপক্ষেও পিছিয়ে পড়েছিল। কানাডার কাছে পা হড়কায়নি লুকা মদ্রিচের দলের। কানাডাকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কাতারে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) খলিফা ইন্টারন্যাশন্যাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল কানাডা ও ক্রোয়েশিয়া। সবাইকে স্তব্ধ করে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই কানাডার হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন আলফানসো ডেভিস। কানাডার সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকা ডেভিসই দেশটির জার্সিতে বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা।
১৯৮৬ সালের পর দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরেছে কানাডা। প্রথম অংশগ্রহণে একবারও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারেনি তারা। নিজেদের দ্বিতীয় আসরে ডেভিসের কল্যাণে ভেঙেছে সেই ডেডলক।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের দেখা পাওয়া কানাডা ক্রোয়েশিয়াকে আটকে রেখেছিল প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে আন্দ্রে ক্রামারিচের গোলে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। এর মিনিট আটেক পর স্কোরশিটে নাম তোলেন মার্কো লিভাজা। তাতেই ম্যাচে প্রথম লিড নেয় ক্রোয়েশিয়া। সেই লিড ধরে রেখেই অবশ্য জয়ের শেষ হাসি হেসেছে লুকা মদ্রিচ-মাতেও কোভাচিচের দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আবারও গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৭০ মিনিটে আবারও স্কোরশিটে নাম তোলেন ক্রামারিচ। তাতেই কানাডার বিপক্ষে তাদের বড় জয় নিশ্চিত হয়। শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আরও একবার বল কানাডার জালে পাঠান ক্রোয়াট ফুটবলার লাভ্রো মাজের। ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে গোল করেন তিনি।
পুরো ম্যাচে বেশিরভাগ বলের দখল ছিল কানাডার কাছে। ক্রোয়াটদের ৪৮ শতাংশের জায়গা কানাডা বল ধরে রেখেছিল ম্যাচের ৫২ শতাংশ সময়। বল দখলে রাখলেও ক্রোয়াট শিবিরে ভীতি ছড়াতে পারেনি তাতে। এতেই ম্যাচ হেরেছে কানাডা। এই জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার উপায় টিকে থাকলো ক্রোয়াটদের জন্য। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে তারা আর বিদায় ঘণ্টা বেজেছে কানাডার।
আপনার মতামত লিখুন :