• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

সেমিফাইনালে কুয়েতকে হারাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৩, ০৭:১০ পিএম
সেমিফাইনালে কুয়েতকে হারাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

১৯৮২ বিশ্বকাপে খেলা কুয়েত কতটা শক্তিশালী সেটা টের পেয়েছে স্বাগতিক ভারত। তাদের র‌্যাঙ্কিংও সে কথাই বলে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার খেলতে এসেই গ্রুপ সেরা হয়ে তারা সেমির টিকেট কেটেছে। অন্যদিকে মালদ্বীপ ও ভুটানকে হারিয়ে ১৪ বছর পর সাফ ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

আগামীকাল ফাইনালে ওঠার সুযোগ জামাল ভূঁইয়াদের সামনে। প্রতিপক্ষ কুয়েত হওয়ায় বাংলাদেশের পক্ষে অবশ্য ফাইনালে ওঠা কঠিন হলেও তাদের হারাতে মানসিকভাবে প্রস্তুত বাংলাদেশ। কেননা এই বাংলাদেশ যে অন্য এক বাংলাদেশ। শনিবার (১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

সেমিফাইনালের আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার (৩০ জুন) কুয়েতের কোচ বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন এভাবে, “কাল সেমিফাইনাল। এটি অন্য ম্যাচগুলোর মতোই একটি। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ যে গত এক মাসে উন্নতি করেছে, এটা তারই প্রমাণ।”

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে কুয়েত ১৪১ আর বাংলাদেশ ১৯২তম। কুয়েত গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে ৯ গোল করেছে। দলটির আক্রমণভাগ খুবই শক্তিশালী। তাই এটা মনে করা হচ্ছে যে কাল কুয়েতের আক্রমণ বনাম বাংলাদেশের রক্ষণ লড়াই হতে পারে।

এ নিয়ে কুয়েতের কোচ বলেছেন, “আমরা প্রতি ম্যাচের আগেই প্রতিপক্ষ দল নিয়ে বিশ্লেষণ করি। আমরা জানি তারা (বাংলাদেশ) শক্তিশালী দল। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করছি। নকআউটে আপনি অতিরিক্ত সময় পাবেন, টাইব্রেকার পাবেন। ফুটবলারদের আমার বলার একটাই, মাঠে গিয়ে উপভোগ কর এবং নিজের সেরাটা দাও। সেমিফাইনালে পেরিয়ে আমাদের লক্ষ্য আসলে ফাইনাল।”

অন্যদিকে বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কণ্ঠে ঘুরেফিরে এসেছে ফাইনাল শব্দটা। দুজনই বলেছেন, বাংলাদেশ দল মাঠে নামবে ফাইনালের লক্ষ্য নিয়েই।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে ওঠার প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে জানিয়ে কাবরেরা বলেন, “আগামীকাল আমরা শুধুই ম্যাচ উপভোগ করতে নামব না, আমাদের লক্ষ্য এখন ফাইনাল নিশ্চিত করা। ফাইনাল নিশ্চিত করতে, চাই গোল। ভালো খবর, বাংলাদেশ গত দুই ম্যাচ জিতেছে এবং দলে প্রথাগত স্ট্রাইকার ছাড়াই ছয় গোল করেছে। কিন্তু উল্টো পিটে দুটি ম্যাচেই আগে গোল খেয়েছে বাংলাদেশ “

সেমিফাইনালে যেন সেটা না হয়, সেদিকে সজাগ থাকার কথা বলেছেন কোচ।

সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ক বলেছেন, ‍‍“আমরা জানি কুয়েত খুব ভালো দল, শক্তিশালী দল। কুয়েত তাদের গ্রুপে সেরা হয়েছে। এটাই ইঙ্গিত দেয় যে তারা অনেক শক্তিশালী দল। তবে আমাদের নিজেদের ভেতরেও আত্মবিশ্বাস আছে। আমাদের এমন একটা দল আছে যারা লড়তে জানে এবং প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলতে পারে। আমরা যদিও ক্লান্ত তবে আমরা মানসিকভাবে শতভাগ প্রস্তুত এই ম্যাচের জন্য।‍‍”

সেমিফাইনালে নিজেদের ওপর বেশি নজর দিতে চান জামাল ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‍‍“আমাদের নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে। আমাদের নিজেদের দিকে নজর রাখতে হবে। কিভাবে গোল করতে হবে, কিভাবে আক্রমণ করতে হবে এবং কিভাবে প্রতিপক্ষকে ডিফেন্স করতে হবে-আমাদের এসবেই নজর রাখতে হবে। তাই আমি বলবো প্রথমেই আমাদের নিজেদের দিকে নজর দিতে হবে। তা নাহলে ম্যাচ কঠিন হয়ে যেতে পারে আমাদের জন্য।‍”

১৪ বছর পর সেমিফাইনালে আসায় ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ এখন চরমে। দুই দলের পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে কুয়েতের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দল দুটি দু’বার মুখোমুখি হয়েছে। ১৯৭৩ সালে মারদেকার পর ৮৬ এশিয়ান গেমসেও কুয়েতের কাছে হার দেখেছে তারা। তারপরও এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দল যেভাবে খেলছে তাতে ফাইনালের স্বপ্নটা দেখাই যায়।

Link copied!