এবারের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবার দৌড়ে অন্যতম দাবিদার ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের সামনে ব্যাট হাতে ব্যর্থ অজিরা। ভারতীয় বোলারদের সামনে মাত্র ১৯৯ রানে গুটিয়ে যায় প্যাট কামিন্সের দল। ভারতের লক্ষ্য ২০০ রান।
চেন্নাইয়ে টস জিতে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনিংয়ের শুরুটা করতে ক্রিজে আসেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। বারতের হয়ে বোলিংয়ে শুরুটা করেন পেসার জাসপ্রীত বুমরাহ। সেই ওভারে মাত্র ১ রান যোগ করে অজি দুই ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসা মোহাম্মদ সিরাজকে চার মেরে স্বাগত জানায় ওয়ার্নার। অবশ্য এরপর বাকি পাচঁ বলে কোন রান নিতে পারেননি অজি ব্যাটার। তৃতীয় ওভারে এসেই বুমরার ব্রেক-থ্রু। তুলে নেন মিচেল মার্শের উইকেট। ওভারের দ্বিতীয় বলেই স্লিমে বিরাট কোহলির দারুণ ক্যাচে পরিণত হবার আগে মার্শ ৬ বল খেলে করতে পারেননি কোন রান।
এই ক্যাচ নেওয়ার ফলে ভারতীয়দের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছেন বিরাট কোহলি। তিনি ক্যাচ নিয়েছেন ১৫টি। এরপর ওর্য়ানারের সঙ্গে জুটি গড়েন স্টিভ স্মিথ। তাদের পার্টনারশীপ ছাড়িয়েছে হাফসেঞ্চুরি। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপে ১,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন ওয়ার্নার। ব্যক্তিগত ১৬ রানে পৌঁছেই রেকর্ড গড়ে ফেলেন ওয়ার্নার। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ১ হাজারি ক্লাবে প্রবেশের কীর্তি এখন তার দখলে। তার লেগেছে ১৯ ইনিংস। অন্যদিকে আগের দুই রেকর্ডধারী ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন ও সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্সের লেগেছিল ২০ ইনিংস করে।
ভারতের বিপক্ষে ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করা ওয়ার্নার অবশ্য শেষ পর্যন্ত ফিফটির দেখা পাননি। ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৪১ রানে। ৫২ বল স্থায়ী ইনিংসটি ৬টি চারে সাজানো। স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ৬৯ রান।
তবে ওয়ার্নারের বিদায়েও অস্ট্রেলিয়ার খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। কারণ স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন মিলে ফের দারুণ জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দিয়েছেন। তবে দলীয় ১১০ রানে এই জুটি ভাঙে স্টিভ স্মিথের বিদায়ে। হাফসেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে থাকা স্মিথকে ফেরান জাদেজা। তার ৪৬ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি চারে।
তার বিদায়ের পর ভারতের বোলারদের সামনে ভেঙে পড়ে অজিদের মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার। সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারে নি কেউই। মিডল অর্ডারে ২৭ রান আসে মার্নাস লাবুশানের ব্যাট থেকে আর শেষ দিকে মিচেল স্টার্কের ২৮ রানের সুবাদে ১৯৯ রান করে অজিরা। অজিদের উইকেট গুলো ভাগাভাগি করে নেন জাদেজা-অশ্বিন-বুমরাহ- কুলদীপ-সিরাজরা। ১০ ওভারে ২৮ রান খরচে ৩ উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। এছাড়া ২টি করে উইকেট গেছে কুলদীব যাদব ও বুমরাহর ঝুলিতে। ১টি উইকেট পেয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মোহাম্মদ সিরাজ।