মেসির গোলে কাঁদলেন আর্জেন্টাইন কোচ

মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচ! এটা কি শুধুই ম্যাচ ছিল আর্জেন্টিনার জন্য? উত্তরটা একবাক্যে হয়তো না বলবেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা! টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত, হট ফেভারিট হয়ে বিশ্বকাপে আসা!

লিওনেল মেসি নামক ফুটবল যাদুকরের শেষ বিশ্বকাপ! আর কিছু লাগে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে! অথচ সেখানেই কিনা প্রথম ম্যাচে শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকা সৌদি আরবের কাছে হারতে হলো আর্জেন্টিনাকে!

এরপর সমীকরণ দাড়ায়, আসরে টিকে থাকতে মেক্সিকোকে হারাতেই হবে! অথচ মেক্সিকানদের বিপক্ষে তর্কসাপেক্ষে এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে জঘন্য ফুটবলটাই খেললো আর্জেন্টিনা!

ম্যাচের তখন বয়স ৬৫ মিনিট! হাল ছেড়ে দিয়েছেন অনেক সমর্থকই! ঠিক সেই সময় দেবদূত হয়ে আরও একবার আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়ে হাজির হলেন লিওনেল আন্দ্রেস মেসি নামের পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চির এক ভদ্রলোক।

মেসির এই গোলটা কি আসলেই গোল? নাহ এটা কখনোই শুধুমাত্র একটা গোল হতে পারে না। কারণ, যে গোলে একটা দল এভাবে জেগে ওঠে, যে গোল বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি আর্জেন্টাইন সমর্থকদের অক্সিজেন দেয় সেটা কিভাবে শুধু গোল হতে পারে!

আচ্ছা, সাধারণত বলা হয় পেশাদার ফুটবলার, কোচদের আবেগ থাকতে নেই। হাজারো ব্যর্থতা, সফলতায় স্নায়ু ধরে রাখতে হয় তাদের। অথচ মেসির গোলে কাল আর্জেন্টাইন শিবিরই পেশাদারিত্বের এই সঙ্গা ধরে রাখতে পারলো না।

পাবলো আইমার নামের আর্জেন্টাইন লোকটাকে নিশ্চয়ই চিনেন, আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ। তার চেয়ে বড় খবর, তিনি লিওনেল মেসির ছোটবেলার আদর্শ। মেসির গোলের পর নিশ্চিতভাবেই সবার চোখ ছিল মেসির উপরেই!

দুই হাত মেলে যেন ফিনিক্স পাখি হয়ে উড়ে যেতে চাইছেন। সতীর্থরা তার পিছনে দৌড়াচ্ছেন অবিশ্বাস্য মুগ্ধতা নিয়ে! অথচ আরেক ক্যামেরায় দেখা গেল, ডাগআউটে চোখ থেকে অশ্রু ঝড়ছে পাবলোর!

এতটাই আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন যে ঠিকমতো দমও নিতে পারছিলেন না! সেই সময়ে তাকে একাধারে কিছু একটা বলে যাচ্ছিলেন আর্জেন্টিনার হেড কোচ লিওনেল স্কল্যানি। হয়তো বলছিলেন এখনই এতটা আবেগাক্রান্ত হয়ো না, যেতে আরও বহুদূর!

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা কথা খুব প্রচলিত আছে যে, মেসি তার সবচেয়ে বড় হেটারকেও ফ্যান বানিয়ে ফেলেন। তবে আজকের পর থেকে আরও একটি কথার প্রচলন হবে হয়তো! মেসি পেশাদার কোচকেও ম্যাচ চলাকালীন সময়ে আবেগাক্রান্ত করে ফেলতে পারেন।