• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
কাতার বিশ্বকাপ

টুপি ঐতিহ্যের আদলে আল-থুমামা


পার্থ প্রতীম রায়
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২, ০৩:২৭ পিএম
টুপি ঐতিহ্যের আদলে আল-থুমামা

মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল কাতার। বহু কাঙ্ক্ষিত ২০২২ সালে মাঠেও গড়াচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ আয়োজনে কোনো কমতি রাখেনি দেশটি। তার প্রমাণ টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্টেডিয়ামগুলো।

ফুটবল ঐতিহ্যের দেশ না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কাতারকে নতুন করে তৈরি করতে হয়েছে স্টেডিয়াম। আর নতুন স্টেডিয়ামে রেখেছে নিজেদের ঐতিহ্যের ছোয়া। এমনই একটি স্টেডিয়াম আল থুমামা স্টেডিয়াম। আরবের ঐতিহ্যবাহী টুপি ‘গাহফিয়া’র আদলে তৈরি করা হয়েছে স্টেডিয়ামটি।

কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে তৈরি করা হয়েছে আল থুমামা স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটির নকশা করেছেন কাতারি স্থপতি ইব্রাহিম এম জাইদাহ। স্টেডিয়ামের নকশা করার সময় আরব নিদর্শন ফুটে তোলার দিকেই নজর রেখেই করা হয়েছিল বলে জানান ইব্রাহিম।

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে নির্মিত আল থুমামা স্টেডিয়ামটির অবস্থান কাতারের অন্যতম ব্যস্ত হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে। একসাথে ৪০ হাজার দর্শক বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। তবে বিশ্বকাপের পর এর ধারণক্ষমতা কমিয়ে আনা হবে। মূলত ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করতেই করা হবে এই কাজ।

স্টেডিয়ামটি বাইরে থেকে দেখতে যতটা সুন্দর এর আশে পাশের এলাকাও ঠিক ততটাই সুন্দর। স্টেডিয়ামের বাইরে পরিবেশ সুন্দর করতে লাগানো হয়েছে নানা প্রজাতির গাছ।

স্টেডিয়ামের আশেপাশের গাছগুলোর যত্নের জন্য পানি পুনব্যবহার করা হবে। শুধু তাই নয়, পুনব্যবহৃত পানির ৪০ ভাগ সংরক্ষণ করা হবে।

স্টেডিয়াম নির্মাণশৈলি নিয়ে নকশাবিদ ইব্রাহিমের আশা, এর মাধ্যমে কাতারের ঐতিহ্য সবাইকে জানানো সম্ভব। ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি, স্টেডিয়ামটি যথেষ্ট আধুনিক করার চেষ্টাও করা হয়েছে।

এই বিষয়ে ইব্রাহিম বলেন, “আমি আমার নকশা ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি। সাথে চেষ্টা করেছি, এর মধ্যে যতটুকু সম্ভব আধুনিক করতে। স্থানীয়দের ঐতিহ্য ধরে রাখার দায়িত্ব আমার, সেটার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।”

গাহফিয়ার আদলে স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাহফিয়া নিয়ে কাজ করেছেন ইব্রাহিম এম জাইদাহ। ছোটবেলা থেকেই গাহফিয়া পড়ার অভিজ্ঞতা থাকায় তা কাজে লেগেছে তার।

বলেন, “আমি সবসময় গাহফিয়া পড়তাম। আমি চাই নাই, গাহফিয়ার বিভিন্ন ধরনের নকশা দেখে কেউ বিভ্রান্ত হোক। তাই একটা সাধারণ আকৃতিতে স্টেডিয়ামটির নকশা করেছি।”

গাহফিয়ার আদলে তৈরি করা আল থুমামা স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে বিশ্বকাপের ৮ ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় রাউন্ড ও কোয়ার্টার ফাইনালের একটি করে ম্যাচ। এই মাঠেই হবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলীয় লড়াই।

Link copied!