চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ৪১তম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে মোস্তাফিজুর রহমান দারুণ বোলিং করে ১৪৬ রানে আটকে দেয়ার পর ৪ উইকেট আর ১ ওভার হাতে রেখেই জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই জয়ে আসরে নিজেদের চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে রিশভ পান্থের দল।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালস। ইনিংসের শুরুতেই মোস্তাফিজকে আক্রমণে আনেন পান্থ। টাইগার পেসার ওভারে দেন মাত্র ২ রান। এরপর ষষ্ঠ ওভারে এসে দেন ৫ রান। তবে অপর প্রান্তে বোলারদের ধাক্কায় ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে কলকাতা।
এরপর বিপদে পড়া কলকাতাকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক আইয়ার আর নীতিশ রানা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৩ বলে ৪৮ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার। শুরুতে দুই উইকেট নেয়া কুলদ্বীপ ১৪তম ওভারে বোলিংয়ে এসে আইয়ার (৩৭ বলে ৪২) ও অ্যান্দ্রে রাসেলকে (০) বিদায় করে দিলে দলীয় ৮৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অল্পতেই গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে কলকাতা।
এমন পরিস্থিতিতে ঝড় তুলে নীতিশ রানা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। দ্বিতীয় স্পেলে এসে মোস্তাফিজ দুই চারসহ দেন ১০ রান প্রথম ওভারে। শেষ ওভারে বোলিংয়ে মোস্তাফিজ তিন উইকেট তুলে নেন। ৩৪ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ৫৭ রান করে বাউন্ডারিতে সাকারিয়ার দারুণ ক্যাচে ফেরেন রানা। পরের বলে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে টিম সাউদিকে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে কেকেআর।
দিল্লির পক্ষে মোস্তাফিজ বোলিংয়ে নেন ৩ উইকেট। আর কুলদ্বীপ যাদব নেন ৪ উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথম বলেই পৃথ্বি শ (০) উমেশ যাদবের বলে ফিরে যান। এরপর দলীয় ১৭ রানে মিচেল মার্শকেও (৭ বলে ১৩) হারায় দিল্লি। কিন্তু অজি ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দশম ওভারে উমেশ যাদবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ২৬ বলে ৮ চারে ৪২ রান করে ওয়ার্নার বিদায় নিলে হঠাৎ খেই হারায় দিল্লি।
দুই রানের মধ্যে খুইয়ে বসে আরও ২ উইকেট। এর মধ্যে ছিলেন অধিনায়ক রিশাভ পান্থ (২) ও ললিত যাদব (২২)। বিপদে পড়া দলকে এরপর এগিয়ে দেন অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। ১৫তম ওভারের শেষ বলে রানআউট হয়ে ফেরার আগে ১৭ বলে ২৪ রান করেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
এরপর সব আলো নিজের করে নেন ক্যারাবিয়ান রোভম্যান পাওয়েল। ১৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে কলকাতার জয়ের আশা শেষ করে দলকে জিতিয়েই ছাড়েন মাঠ ছাড়েন। এই ব্যাটার একটি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা হাঁকান।
কলকাতার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন পেসার উমেশ যাদব। ২৪ রান খরচায় তিনি নেন ৩টি উইকেট।




































