বিসিবির নতুন পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের পর থেকেই আলোচনায় বিপিএল। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজন আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে বিপিএল আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে।
শনিবার এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, অন্তত ৫টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে এবারের বিপিএল আয়োজনের লক্ষ্য বোর্ডের। যেখানে ১০টি জেলা থেকে বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। যার মধ্যে আছে নোয়াখালী-ময়মনসিংহের নামও। এর আগে কখনো বিপিএলে এই দুই জেলা থেকে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আসেনি। ফলে কেউ আগ্রহ দেখালে এবারই প্রথম দেখা যেতে পারে নোয়াখালী-ময়মনসিংহের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি।
আসন্ন বিপিএলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইওআই (দরপত্র) আহ্বান করেছে বিসিবি। আসন্ন বিপিএলের ১২তম আসর থেকে ১৬তম আসর পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মালিকানা দিতে যাচ্ছে বিসিবি।
শনিবার বিকেলে বোর্ডের সভা শেষে মিরপুরে সাংবাদিকদের বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘নির্বাচনের পর বিপিএল গভর্নিং বডির নতুন দায়িত্ব পেয়েছি আমরা। আজকের সভায় প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে—এতো স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপিএল করব কি করব না। শেষ বোর্ড সভায় এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ধরেছি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়টাকে। নতুনভাবে শুরু হচ্ছে এবারের বিপিএল। আগের দলগুলোর চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। আগামীকালই পত্রিকায় ইওআই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে।’
বিসিবির এই পরিচালক স্পষ্ট করে জানিয়েছেন অন্তত ৫ দলের বিপিএল এবার আয়োজন করতে যাচ্ছে বোর্ড, ‘আমরা দশটা রিজিওনের নাম বলেছি, তবে এবার সময় কম। তাই অন্তত পাঁচটা দল নিয়ে আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। বলছি না ছয় বা সাতটা দল হবে না, কিন্তু আমাদের প্রাধান্য পাঁচটি দল নিয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করা। আগের বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে যে সব সমস্যা হয়েছিল, এবার আমরা কঠোর থাকব। ফাইনান্সিয়াল দিক ঠিক না থাকলে, কিংবা ম্যানেজমেন্ট দুর্বল হলে, বড় গ্রুপ হলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হবে না। ফাইনান্স আর ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট—দুটোই এবার কঠোরভাবে যাচাই করা হবে।’