রাজধানীর শ্যামপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম সেতু রানী ঘোষ (২৮)।
জানা গেছে, সেতু রানী মুন্সিগঞ্জ জেলার শিবু ঘোষের মেয়ে। বর্তমানে শ্যামপুরের হরিচরণ রোডের ৪১/২ নম্বর বাসার তৃতীয় তলায় থাকতেন। তিনি এক মেয়ের জননী ছিলেন।
রোববার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে শ্যামপুর হরিচরণ রোডের ৪১/২ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত গৃহবধূর বড় ভাই সায়ন ঘোষ জানান, আট বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে বোনের স্বামী অমিত ঘোষসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। এ নিয়ে সেতু রানী গলায় ফাঁস দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে নিজের রুমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেয় সেতু। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় স্বামী অমিত ঘোষ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।