• ঢাকা
  • সোমবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৯ সফর ১৪৪৬

ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে ঘরমুখো মানুষ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২২, ০৬:৪৯ পিএম
ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে ঘরমুখো মানুষ

নির্বিঘ্নে বাড়ি যাওয়ার জন্য মানুষের প্রথম পছন্দ ট্রেন। সে কারণেই ঈদ এলে শত দুর্ভোগ সহ্য করেও কাঙ্ক্ষিত টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে মানুষ। ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনও শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে বিভিন্ন রুটের ট্রেন। ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন অধিকাংশ যাত্রী। সেই দুর্ভোগের রেশ না যেতেই ট্রেনযাত্রীরা নতুন করে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। যাত্রার দিন শিডিউল বিপর্যয়ের ফাঁদে পড়েছেন তারা।

শুক্রবারে (৮ জুলাই) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় সবগুলো ট্রেনেই শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এ কারণে কমলাপুরে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। প্ল্যাটফর্মে এবং যে দুই-একটি ট্রেন আসছে, সেগুলোর বগিতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

সরেজমিন স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অসহ্য গরমের মধ্যে মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে স্টেশনের আবহাওয়া আরও গরম হয়ে উঠেছে। গরম থেকে বাঁচতে কেউ কেউ হাতপাখা নিয়ে এসেছেন। তবুও ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে রক্ষা মিলছে না। গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এরপরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেনের জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন তারা।

রাজশাহী কমিউটার ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বিকাল ৪টার। যদিও ট্রেনটি যাত্রার সময় ছিল বেলা ১২টা ২০ মিনিটে।

এক যাত্রীর টিকিটে দেখা গেছে, চট্টলা এক্সপ্রেসের টিকিট কেটেছেন ঢাকা থেকে ভৈরবগামী একজন যাত্রী। বেলা ১২টা ৩২ মিনিটে কাটা টিকিটটিতে যাত্রার সময় দেওয়া হয়েছে দুপুর ১টা। ভাড়া নেওয়া হয়েছে ৮৫ টাকা। তবে আসনের জায়গায় লেখা আছে ‘আসনবিহীন’।

আসনবিহীন টিকিট কাটা অন্য এক যাত্রী আরমান শেখ সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “গত বেশ কয়েকদিন ঘুরেও টিকিট ব্যবস্থা করতে পারিনি। ঈদে তো আর একা ঢাকায় থাকা যাবে না। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে হবে। তাই কষ্ট হলেও ট্রেনে দাঁড়িয়ে যেতে পারলেই খুশি।”

বাবা-মা ও চাচা-চাচির সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন ছোট্ট শিশু হুসাইন হুরাইরা। সঙ্গে আছে তারই ছোট আরও দুইটি ভাই। বাড়িতে যাবে ভাবতেই খুশি, খুশি ভাব চোখে ভেসে উঠেছে।

তারাকান্দির যমুনা এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, চট্টগ্রামের সুবর্ণ এক্সপ্রেস— সবগুলো শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। এ ট্রেনগুলো এখনও ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

হুসাইন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “অনেকদিন পরে বাড়িতে যাচ্ছি। গত ঈদের সময়ও বাড়িতে গিয়েছিলাম। ঈদে বাড়ি না গেলে কিছু ভালো লাগে না। বাড়িতে দাদা-দাদিসহ আরও সবাই রয়েছে। তাদের রেখে ঢাকাতে ঈদ করলে একটুও ভালো লাগে না।”

এদিকে ট্রেন মিস হওয়ার ভয়ে অনেকেই আগে ভাগে এসেই ভিড় জমিয়েছেন স্টেশনে। দুই ঘণ্টা আগেই কাউন্টারে এসে বসে আছেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদ। তিনি বলেন, “আজকে তো ছুটি শুরু, মানুষের ভিড় বেশি হবে। এটা আগেই অনুমান করেছিলাম। তাই আগে থেকেই চলে এসেছি।”

Link copied!