রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডারের চাপায় প্রাইভেট কারের নিহত পাঁচ আরোহীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তে নতুন কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা পৌনে একটার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত হয়।
ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক নাসেদ জামিল জানান, নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে সুরতহাল প্রতিবেদনে যা লেখা আছে, ময়নাতদন্তে তাই পাওয়া গেছে।
নাসেদ জামিল জানান, নিহত প্রত্যেকের একাধিক পর্যবেক্ষণ (মাল্টিপল ফাইন্ডিংস) রয়েছে। প্রতিটার আলাদা করে বর্ণনা (ডেসক্রাইব) দেওয়া সম্ভব নয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে যেভাবে বর্ণনা করা আছে, হুবহু তাই পাওয়া গেছে।
এর আগে, সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তরার জসিম উদ্দীন এলাকায় আড়ংয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কার থেকে নিহতদের কোনোভাবেই বের করা যাচ্ছিল না। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। গার্ডারের নিচে প্রাইভেটকার চাপা পড়ে থাকায় মরদেহ বের করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে এক্সকাভেটর দিয়ে গার্ডার সরিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৩-এর উপসহকারী পরিচালক সাইফুজ্জামান বলেন, “১৫০ টন ওজনের গার্ডার হওয়ায় উদ্ধারকাজ শুরু করা যায়নি। যখন ক্রেন ও এক্সকাভেটর এসেছে তখন আমরা গার্ডার সামান্য উঁচু করে ওই গাড়ি থেকে দুই শিশু, দুই নারী এবং একজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করি।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিআরটি প্রকল্পের জন্য নির্মিত গার্ডার একটি ক্রেন দিয়ে সরানো হচ্ছিল। এ সময় গার্ডারটি হঠাৎ করে রাস্তায় চলমান প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে যায়। গার্ডারটি ক্রেন থেকে ছুটে যায়নি, বরং ক্রেনের একপাশ উল্টে যায়।


































