থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে যা বললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে যা বললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ছবি : সংগৃহীত

আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, “থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসার জন্য বিশ-ত্রিশ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য এই রোগে আক্রান্তের ব্যয় উদ্বৃত্ত নেই।”

বুধবার (৭ মে) বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “পরিসংখ্যান তথ্যমতে, দেশে ১০-১১ শতাংশ থ্যালাসেমিয়া বাহক। এর ১ শতাংশ যদি রোগী হয় তার জন্য দুই-দশ হাজার কোটি টাকা চিকিৎসা খরচ হবে। এই ব্যয়ের উদ্বৃত্ত তৈরি করা বড়ই জটিল। জনসচেতনতার মাধ্যমে এই ব্যয়কে আমরা কমিয়ে আনতে পারি।”

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা খুবই জরুরি। সচেতনতা ও পর্যাপ্ত স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয় করে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কমিয়ে আনা যেতে পারে। বিটা থ্যালাসেমিয়া বাহক যদি না জেনে আরেকজন বাহককে বিয়ে করেন, তাহলে তাদের সন্তান গুরুতর থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মাতে পারে। এটি প্রতিরোধে তাই ব্যক্তিপর্যায়ের জনসচেতনতা প্রয়োজন।”

ব্যয়বহুল এ রোগ সম্পর্কে বিবাহ নিবন্ধনকারী কাজিদের প্রশিক্ষিত করা, ধর্মীয় নেতা ও স্কুলের শিক্ষকদের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা তৈরি এবং বিভিন্ন ফোরামে বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করার বিষয়ে জনমত তৈরিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “থ্যালাসেমিয়া বাহক হওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। কেউ বাহক হলেও একদম স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। বিবাহবন্ধনের মাধ্যমে দুইজন বাহক আবদ্ধ হলে সন্তানের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। যার ফলশ্রুতিতে প্রায় দুই হাজার থেকে দশ হাজার কোটি টাকার পারিবারিক বা রাষ্ট্রীয় খরচের দায় তৈরি হয়ে যায়।”

Link copied!