ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেওয়া চিঠির জবাব দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। চিঠিতে সিইসি বলেছেন, “সরকার ও অন্যদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশন যেভাবে সহায়তা পাচ্ছে, এটি অব্যাহত থাকলে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে কমিশন সক্ষম হবে।”
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ইলেকশন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।
আহসান হাবিব খান বলেন, “সিইসি চিঠিতে বলেছেন, আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে একটি ছোট দল হলেও পাঠা1বে। নির্বাচনে যত বেশি দেশি পর্যবেক্ষক থাকবে নির্বাচন তত বেশি স্বচ্ছ হবে এবং সবার ওপরে এক ধরনের চাপ থাকবে।”
কর্মশালা প্রসঙ্গে আহসান হাবিব খান বলেন, “অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগ জনগণের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ মৌলিক মানবাধিকার। দীর্ঘ সময় ধরে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় অনিয়ম ও কারচুপির বিভিন্ন মহলের অভিযোগসহ কালো টাকা ও পেশি শক্তির কারণে অবাধ ভোটাধিকার হরণ বা ব্যাহত হয় বলে অধিকাংশদের ধারণা। এটা কখনো প্রত্যাশিত হতে পারে না। এমন বিরূপ বাস্তবতাকে প্রতিহত করতে প্রার্থী তার স্বার্থে ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি বুথের জন্য একজন করে দক্ষ ও বিশ্বস্ত পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করে থাকেন।”
আহসান হাবিব আরও বলেন, “এমন বাস্তবতার আলোকে ‘অবাধ ভোটাধিকার-প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকা’ বিষয়ে একটা কর্মশালা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ কর্মশালায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার, সাবেক জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা অংশ নেবেন।”
