• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

টমেটোতে যেন আগুন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৩, ০৩:০২ পিএম
টমেটোতে যেন আগুন

বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও কোনোটারই দাম কমছে না। বিশেষ করে টমেটোর বাজারে দেখা গেছে আগুন। পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও নানা অজুহাতে একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে টমেটোর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ দামে বিক্রি করেও তারা লাভ উঠাতে পারছেন না। ঢাকার বাইরে থেকে ট্রাক না আসার কারণেই টমেটোর দাম বেড়ে গেছে, এমনটাই জানালেন কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এক টমেটো বিক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বাজারে দেখছেন টমেটো নেই। যার কাছে যতটুকু আছে সেটাও চাহিদায় কম। শুক্রবার সকালে টমেটোর ট্রাক কারওয়ান বাজারে কম এসেছে। এজন্য টমেটো কম কিনতে হয়েছে। আর এখন টমেটোর সিজন শেষের দিকে। সবদিক বিবেচনায় টমেটোর দাম যে খুব বেশি বেড়েছে এমন নয়। বলা যায় সাধারণের নাগালের মধ্যে রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “১৫০ টাকা কেজি টমেটো বিক্রি করেও আমাদের লাভ হচ্ছে। যে দামে টমেটো কিনতে হচ্ছে সেই লাভে বিক্রি করতে পারছি না। ১৭০ কেজি টমেটোর কথা যদি আমরা ক্রেতাদের বলি তাহলে ঘাড়ে মার ছাড়া কিছু জুটবে না।”

টমেটোর দাম প্রসঙ্গে ডিআইটি প্রজেক্ট বাজারের সবজি বিক্রেতা নাজমুল ইসলাম বলেন, “কয়েকটি সবজি ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণেই আছে। তবে টমেটোর দামটা একটু বেশি। আমাদেরকেই ১৩৬ টাকা কেজি করে কিনে আনতে হয়েছে। এর সঙ্গে আবার যাতায়াত ভাড়া আছে, তারপরও সবাই মিলে ১৪০ টাকা করে বিক্রি করছি। তুলনামূলক অন্যান্য সবজিতে যেই লাভ আসে, টমেটোতে লাভ নেই বললেই চলে।”

তিনি বলেন, “দেখে হয়ত মনে হচ্ছে বাজারে অনেক সবজি, কিন্তু ফুলকপি আর বাঁধাকপি ছাড়া অন্যান্য সবজি কিন্তু তেমন একটা নেই। শীত শুরু হয়ে গেলেও শীতের সবজি পুরোদমে এখনো বাজারে আসেনি। আর কারণেই দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে।”

এদিকে এক দিনের ব্যবধানে নতুন আলুর কেজিতেও বেড়েছে ২০ টাকা। বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। শুক্রবার একই আলু বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আলুর দাম বাড়ায় কারণ হিসেবে সংকটকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, কোল্ড স্টোরেজ আলু ৪৫ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৫০-৮০ টাকা, গাজর ১২০-১২৫ টাকা, ফুলকপি পিস ৩০-৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, পেঁপে কেজি ৩০-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা।

এছাড়া কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা, লেবু ৪০ টাকা (হালি) বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন মো. রকিবুল ইসলাম। বাজারে সবজির দাম কমার প্রসঙ্গে সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “গত কয়েক দিনের চেয়ে বাজারে সবজির দাম কমেছে। এখন মোটামুটি বলা হয় স্বস্তি ফিরেছে। তবে কিছুদিন আগে যে দাম ছিল তাতে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণ দায়ী বলে আমি মনে করি।”

তিনি আরও বলেন, “সবজির বাজারে পণ্যের দাম কমলেও মুদি দোকানের বাকি সব পণ্যের দাম নাগালের বাহিরেই বলা চলে। চাল, আটা, তেল, ময়দাসহ বাকি যেসব পণ্য আছে সেগুলো দাম নাগালের মধ্যে আসলেই সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করবে। এখনও সেগুলো পণ্যের দাম কমবে বলে আমরা আশা করছি না।”

Link copied!