দেশে এখন ত্রাসের রাজত্ব চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “১৯৭১ সালে যে স্বপ্ন নিয়ে দেশের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, মানুষের সেই স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করে দেশের জনগণকে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে।”
শনিবার (২৫ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “শহীদ জিয়ার হাত দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা বারবার বিপন্ন করার চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু খালেদা জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন। সেটিও আজ ধ্বংস করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ চালু করা হয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে চক্রান্তমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে।”
পুরো রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সরকার ও তার লোকজনের সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। এই মহান দিনে সব দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহ্বান জানাই দলমত নির্বিশেষে ঐক্যের মাধ্যমে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই দেশ ও গণবিরোধী শক্তিকে অপসারণ করে জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হবে।”
ফখরুল আরও বলেন, “লাখো মানুষের রক্ত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে মহিমান্বিত আমাদের এই স্বাধীনতা। অথচ স্বাধীনতার এত বছর পর আজও বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করে দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের নুয়ে পড়া পতাকাকে সমুন্নত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ জন্য গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য।”
আপনার মতামত লিখুন :