• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

‘গুণগতমান সম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প নেই’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩, ০৭:১৬ পিএম
‘গুণগতমান সম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প নেই’

গুণগতমান সম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, সমবায় মন্ত্রী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, “বর্তমানে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে টিকে থাকতে হলে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন অপরিহার্য। প্রাথমিক শিক্ষায় আমাদের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে অর্জনের সঙ্গে গুনগতমান সম্পন্ন শিক্ষা প্রদানেও সাফল্য অর্জন করতে হবে। তা না হলে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যাবে না।”

রোববার (২৫ জুন) সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সিডিপির আয়োজনে ‘প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি বিনোয়োগ : স্থানীয় অভিজ্ঞতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার গবেষণা প্রতিবেদকে এসব তথ্য জানানো হয়। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে সিডিপির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষকদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের সম্মান অর্জন করতে হবে এবং নেতিবাচক পথ পরিহার করতে হবে। উপজেলা পরিষদ প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে নানাভাবে জড়িত। তবে ইউনিয়ন পরিষদকে কীভাবে স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে যুক্ত করা যায়, তা নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সাফল্যের জন্য কর্মস্পৃহা বজায় রাখতে স্বীকৃতিও দরকার। আমাদের এখানে সাফল্যের স্বীকৃতি দেওয়ার রেওয়াজ কম। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি ছাত্রের সংখ্যা বর্তমানে ৯৮% হলেও তা শতভাগে উত্তীর্ণ করতে হবে এবং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে হবে।”

জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন জাতীয় সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি এডুকেশন অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট টিম প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাদিয়া রশীদ বলেন, “করোনাকালীন প্রাথমিক শিক্ষায় ক্ষতি নিতে পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।”

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি কাউন্সেলর ইউরাতে স্মলস্কাইট মার্ভিল বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয় যেখানে মানসম্মত ও গুণগত শিক্ষাই পারে পৃথিবীকে সুন্দর ও বসবাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ে। এ হার কমানোর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।”

Link copied!