• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
বেড়েই চলছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ

চাপ সামলাতে পারছে না সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল


জাহিদ রাকিব
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৩, ০৮:৪৬ পিএম
চাপ সামলাতে পারছে না সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগী ও স্বজনরা

প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ অবস্থা রাজধানী ঢাকার। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৭ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ৩৬৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। চলতি বছর এই হাসপাতালে সাড়ে ছয় হাজার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে রোগী বেড়েছে কয়েকগুণ। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে পারছে না ডাক্তার ও নার্সরা।

সরজমিনে দেখা যায়, ডেঙ্গু ওয়ার্ডের শয্যা খালি না থাকায় রোগীরা ওয়ার্ডের বাইরে বারান্দায় ও মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মতো সরকারি হাসপাতালগুলোতেও ডাক্তার এবং নার্সরা অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতি মুহূর্তেই রোগী আসছে এসব হাসপাতালে।

চাপ সামলাতে কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা দুইটি ডেডিকেটেড ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করেছে। এসব ওয়ার্ডে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা। এছাড়া শিশুদেরকে শিশু ওয়ার্ডেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারেক আজিজ। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ছয় দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। জ্বর, মাথাব্যথা, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ ছিল তার। সাধারণ ভাইরাস জ্বর ভেবে শুরুতে বাসাতেই চিকিৎসা নিয়েছিলেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভোলা থেকে ঢাকায় এসে ডাক্তার দেখান। এখন এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।”

সাদ্দাম হোসেন নামের আরেক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “জ্বর-ডায়রিয়া দেখে নিজেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে আসি গতকাল। আজকে রিপোর্ট নেওয়ার পর ডাক্তার বললো ডেঙ্গু পজেটিভ। ডাক্তার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য বলে।”

ডেঙ্গু আক্রান্ত ফয়সাল হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “গত এক সপ্তাহ ধরে আমার জ্বর। কোনোভাবেই কমছিল না। সঙ্গে বুকে ও শরীরে তীব্র ব্যথা ছিল। বাসার পাশের একটি ফার্মেসি থেকে এতদিন ওষুধ খেলেও আর পারছিলাম না। একজনের সহযোগিতায় আজ হাসপাতালে এসেছি।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “হাসপাতালে জটিল অবস্থাতেই বেশি রোগী আসে। জ্বরের সঙ্গে বমি, পেট ব্যথা, রক্তক্ষরণ এসব উপসর্গ নিয়ে বেশি রোগী আসছে হাসপাতালে। যে কারণে চিকিৎসা দিতে সময় বেশি লাগছে ।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা পুরুষ ও নারীদের জন্য ডেডিকেটেড ডেঙ্গু ওয়ার্ড করেছি। শিশু ডেঙ্গু রোগীদের শিশু ওয়ার্ডেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আরও প্রস্তুতি নিচ্ছি শয্যা বাড়ানোর জন্য। যে হারে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে, তা চলমান থাকলে আমাদের চিকিৎসা দিতে আরও বেশি বেগ পেতে হবে।”

Link copied!