• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রচারে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নেননি শেখ হাসিনা : কাদের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৩:১৮ পিএম
প্রচারে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নেননি শেখ হাসিনা : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কোনো রাষ্ট্রীয় প্রটোকল গ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “পতাকা ব্যবহার না করে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।”

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “গত ২০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.) ও হজরত শাহ পরান (র.)-এর মাজার জিয়ারতের পর আওয়ামী লীগের প্রথম বিভাগীয় জনসভায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি রংপুর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকা, ফরিদপুর ও নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি ২৩ জেলায় ভার্চুয়াল নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করেছেন।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের কাছে নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তীব্র শীত উপেক্ষা করে জনগণ নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছে।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং ২৯৯ আসনে মোট প্রার্থী আছেন এক হাজার ৯৭০ জন। যার মধ্যে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সুতরাং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।”

বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম অর্থনীতির দেশ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, “মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলার। শেখ হাসিনার ওয়াদা অনুযায়ী আজ দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। পাশাপাশি, দারিদ্র্যের হার কমে হয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ, অতিদারিদ্র কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছর ৮ মাস হয়েছে।”

সাংবাদিকদের উদ্দেশে কাদের বলেন, “২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালায়। আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মী, ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করে।”

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন গঠনে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যার অধীনে সাংবিধানিক পদের অধিকারীদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইলেকশন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই কমিশন সর্বোচ্চ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।”

Link copied!