• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন

নাশকতা কি না খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৮:৩০ এএম
নাশকতা কি না খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ফাইল ছবি

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি বগিতে আগুনের ঘটনায় হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনা নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত করেছেন এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ৮টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুর্বৃত্তদের দেওয়া এ আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে কয়জন আহত হয়েছেন তা জানা যায়নি।

শুক্রবার রাত ১১টার পর এক ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড ম্যানটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘ এক ঘণ্টা ১০ মিনিটে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ্য হই। আটটি ইউনিট কাজ করেছে। আমরা এখনও উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছি। এখন পর্যন্ত চারটি লাশ আমরা উদ্ধার করেছি। আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।”

এর আগে রাত ৯টা ৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। রাত ১০টা ২২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান বলেন, ট্রেনটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। ট্রেনের চারটি বগি পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে সাতটি ইউনিট।

গত ১৯ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে এক নারী ও তার শিশু সন্তানসহ চারজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছিলেন, যাত্রীবেশে ট্রেনে উঠে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা।

Link copied!